সেই শখের বশেই তিনি রাজনীতির ব্যস্ততা থেকে সময় বার করে মঞ্চে নামলেন। দাপিয়ে করলেন অভিনয়, যা দেখে দর্শকাসনে পড়ল দেদার করতালি। তাঁর অভিনয় দক্ষতা এতটাই মুগ্ধ করেছে স্থানীয় এবং পর্যটকদের যে সবাই একবাক্যে বলছেন, ‘অতি উত্তম’। জেলাবাসীর মোবাইলে মোবাইলে এখন ঘুরছে যাত্রা মঞ্চে তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের ভিডিও।
advertisement
আপনার ‘ব্লাড সুগার’ লেভেল কি ১৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে? এক টুকরো নারকেল এটা কমিয়ে আনতে পারে! কী ভাবে জানেন?
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে পরিচিত উত্তম বারিক। প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ব্যস্ততার মাঝেও তিনি যে অভিনয়ে এতটা পারদর্শী, তা হয়তো অনেকেরই অজানা ছিল। রবিবার রাতে নিউ দিঘা হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের দুর্গাপুজো উপলক্ষে আয়োজিত যাত্রানুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায় অভিনয় করতে। মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি ছিল এক বিশাল চমক। এই যাত্রাপালায় তিনি ‘বড় দাদা’-র চরিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর সাবলীল অভিনয়, কণ্ঠস্বর এবং সংলাপ বলার ধরন দেখে দর্শকরা মুগ্ধ। দর্শকাসন থেকে তাঁর অভিনয়ের জন্য মুহুর্মুহু করতালি পড়ে। মুখে মুখে শোনা যায় ‘অতি উত্তম’।
যদিও উত্তম বারিক জানান, নাটক-যাত্রা-অভিনয়ের প্রতি তাঁর ভালোবাসা আজকের নয়, তা ছোটবেলা থেকেই। রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে অনেকদিন সেভাবে অভিনয় করা হয়ে ওঠেনি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেজুরি থেকে জিতে ১৬ আগস্ট দ্বিতীয়বারের জন্য জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু রাজনৈতিক কূটকৌশলের মধ্যেও শিল্পের প্রতি তাঁর টান একটুও কমেনি। সামান্য সুযোগ পেতেই তিনি যেন ফিরে গেলেন তাঁর পুরোনো মেজাজে।
পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে দাপুটে নেতা হিসেবে উত্তম বারিকের খ্যাতি রয়েছে। খেজুরী থেকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতে জেলা পরিষদের সদস্য হয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি পটাশপুরের বিধায়ক। কিন্তু দিঘার যাত্রা মঞ্চে তাঁর অভিনয় যেন এক নতুন পরিচয়ের জন্ম দিল। তাঁর অভিনয়ের দৃশ্য এখন স্থানীয়দের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। তাঁর এই বিরল প্রতিভার প্রকাশ প্রমাণ করে যে শখের বশে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে, আর তিনি সেই মেজাজটিকে কাজে লাগিয়েই রাজনীতির বাইরেও ভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের ছাপ ফেললেন।