আপনার 'ব্লাড সুগার' লেভেল কি ১৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে? এক টুকরো নারকেল এটা কমিয়ে আনতে পারে! কী ভাবে জানেন?

Last Updated:
Coconut For Diabetes: ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমিত নারকেল খেতে পারেন. নারকেলের আঁশ, কম গ্লাইসেমিক সূচক ও খনিজ উপকারী হলেও বেশি খেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ক্যালোরি ক্ষতি করতে পারে।
1/13
ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময়ই জানতে হয় কোন খাবার খাবেন আর কোনটা এড়িয়ে চলবেন। নারকেল এশিয়া, আফ্রিকা, ক্যারিবিয়ান দেশসহ ভারতেও বহু মানুষের খাদ্যতালিকায় রয়েছে। এর বিশেষ স্বাদ, আঁশ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য অনেকেই প্রতিদিন নারকেল খান। Coconut For Diabetes:
ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময়ই জানতে হয় কোন খাবার খাবেন আর কোনটা এড়িয়ে চলবেন। নারকেল এশিয়া, আফ্রিকা, ক্যারিবিয়ান দেশসহ ভারতেও বহু মানুষের খাদ্যতালিকায় রয়েছে। এর বিশেষ স্বাদ, আঁশ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য অনেকেই প্রতিদিন নারকেল খান (Coconut For Diabetes) । কেন জানেন? 
advertisement
2/13
তবে নারকেলের সাদা অংশে বেশি পরিমাণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ক্যালোরি থাকে। তাই প্রশ্ন হল—এটি কি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ?
তবে নারকেলের সাদা অংশে বেশি পরিমাণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ক্যালোরি থাকে। তাই প্রশ্ন হল—এটি কি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ?
advertisement
3/13
চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক পরিমাণে খেলে নারকেলের আঁশ, খনিজ ও তুলনামূলকভাবে কম গ্লাইসেমিক সূচকের কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খেতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক পরিমাণে খেলে নারকেলের আঁশ, খনিজ ও তুলনামূলকভাবে কম গ্লাইসেমিক সূচকের কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খেতে হবে।
advertisement
4/13
ডায়াবেটিস রোগীরা কি নারকেল খেতে পারবেন? উত্তর হল—হ্যাঁ, তবে অবশ্যই পরিমিত মাত্রায়। বাদামি খোসার ভেতরের সাদা শাঁস তুলনামূলকভাবে কম নেট কার্বোহাইড্রেটযুক্ত। এর বেশিরভাগ কার্বোহাইড্রেটই আসে আঁশ থেকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং খাবারের পর রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।
ডায়াবেটিস রোগীরা কি নারকেল খেতে পারবেন? উত্তর হল—হ্যাঁ, তবে অবশ্যই পরিমিত মাত্রায়। বাদামি খোসার ভেতরের সাদা শাঁস তুলনামূলকভাবে কম নেট কার্বোহাইড্রেটযুক্ত। এর বেশিরভাগ কার্বোহাইড্রেটই আসে আঁশ থেকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং খাবারের পর রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।
advertisement
5/13
গবেষণা কী বলছে?ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেল ময়দা ও উচ্চ আঁশযুক্ত খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক ডায়াবেটিস রোগী ও সুস্থ উভয় ক্ষেত্রেই কম থাকে।

তবে নারকেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকায় অতিরিক্ত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
গবেষণা কী বলছে? ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেল ময়দা ও উচ্চ আঁশযুক্ত খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক ডায়াবেটিস রোগী ও সুস্থ উভয় ক্ষেত্রেই কম থাকে। তবে নারকেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকায় অতিরিক্ত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
advertisement
6/13
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নারকেলের উপকারিতা কী? আঁশে ভরপুর: নারকেলের কার্বোহাইড্রেটের অর্ধেকের বেশি আসে আঁশ থেকে। এটি হজম ধীর করে, হঠাৎ রক্তে শর্করা বৃদ্ধিকে কমায় এবং হজমশক্তি বাড়ায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নারকেলের উপকারিতা কী?  আঁশে ভরপুর: নারকেলের কার্বোহাইড্রেটের অর্ধেকের বেশি আসে আঁশ থেকে। এটি হজম ধীর করে, হঠাৎ রক্তে শর্করা বৃদ্ধিকে কমায় এবং হজমশক্তি বাড়ায়।
advertisement
7/13
লো গ্লাইসেমিক ইমপ্যাক্ট: নারকেল ধীরে ধীরে গ্লুকোজ ছাড়ে, ফলে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: নারকেলের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও আঁশ দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এটি অযথা খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
লো গ্লাইসেমিক ইমপ্যাক্ট: নারকেল ধীরে ধীরে গ্লুকোজ ছাড়ে, ফলে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
advertisement
8/13
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: নারকেলের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও আঁশ দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এটি অযথা খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: নারকেলের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও আঁশ দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এটি অযথা খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
advertisement
9/13
প্রয়োজনীয় খনিজ: নারকেলের সাদা অংশে ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আয়রনের মতো খনিজ থাকে, যা মেটাবলিজম ও শক্তি উৎপাদনে সহায়ক।
প্রয়োজনীয় খনিজ: নারকেলের সাদা অংশে ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আয়রনের মতো খনিজ থাকে, যা মেটাবলিজম ও শক্তি উৎপাদনে সহায়ক।
advertisement
10/13
ডায়বেটিস ডায়েটে নারকেল কীভাবে খাবেন?পরিমাণ মেনে: প্রতিদিন ৩০–৪০ গ্রাম (২–৩ টেবিল চামচ কুচানো নারকেল) খাওয়া যেতে পারে।

মিষ্টি নারকেল নয়: বাজারে পাওয়া নারকেলের মিষ্টি টুকরো বা ডেজার্টে অতিরিক্ত চিনি থাকে, তাই এড়িয়ে চলতে হবে।
ডায়বেটিস ডায়েটে নারকেল কীভাবে খাবেন? পরিমাণ মেনে: প্রতিদিন ৩০–৪০ গ্রাম (২–৩ টেবিল চামচ কুচানো নারকেল) খাওয়া যেতে পারে। মিষ্টি নারকেল নয়: বাজারে পাওয়া নারকেলের মিষ্টি টুকরো বা ডেজার্টে অতিরিক্ত চিনি থাকে, তাই এড়িয়ে চলতে হবে।
advertisement
11/13
লো GI খাবারের সঙ্গে: কুচানো নারকেল ডাল, সবজি বা সালাদে মিশিয়ে খাওয়া যায়।চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখুন: জলপাই তেল বা বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সঙ্গে নারকেল খেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ক্ষতি কিছুটা কমে।
লো GI খাবারের সঙ্গে: কুচানো নারকেল ডাল, সবজি বা সালাদে মিশিয়ে খাওয়া যায়। চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখুন: জলপাই তেল বা বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সঙ্গে নারকেল খেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ক্ষতি কিছুটা কমে।
advertisement
12/13
রক্তে সুগার মনিটর করুন: নারকেল খাওয়ার পর রক্তের শর্করার মাত্রা কেমন থাকছে তা দেখে নেওয়া জরুরি।
রক্তে সুগার মনিটর করুন: নারকেল খাওয়ার পর রক্তের শর্করার মাত্রা কেমন থাকছে তা দেখে নেওয়া জরুরি।
advertisement
13/13
বাদামি খোসার সাদা শাঁস পরিমিত পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। নারকেলের কম গ্লাইসেমিক সূচক, আঁশ এবং তুলনামূলক কম নেট কার্বোহাইড্রেট একে নিরাপদ করে তোলে। তবে এতে ক্যালোরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকায় অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। নারকেলকে সুষম খাদ্যাভ্যাসের ছোট অংশ হিসেবে খাওয়াই সবচেয়ে ভাল।
বাদামি খোসার সাদা শাঁস পরিমিত পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। নারকেলের কম গ্লাইসেমিক সূচক, আঁশ এবং তুলনামূলক কম নেট কার্বোহাইড্রেট একে নিরাপদ করে তোলে। তবে এতে ক্যালোরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকায় অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। নারকেলকে সুষম খাদ্যাভ্যাসের ছোট অংশ হিসেবে খাওয়াই সবচেয়ে ভাল।
advertisement
advertisement
advertisement