কিন্তু এবার যেন নতুন ভোর। ইছামতী আর গৌড়েশ্বর নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি নতুন শ্মশানঘাট যেন শুধু ইট, বালি আর সিমেন্টের গাঁথুনি নয়—এ যেন এক দীর্ঘ প্রত্যাশার পূরণ। এলাকাবাসীর বহু বছরের দাবি, অবশেষে বাস্তবায়িত হল হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মন্ডলের উদ্যোগে। তাঁর বিধায়ক তহবিলের অর্থে আধুনিকভাবে নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে দুটি শ্মশানঘাট। নতুন শ্মশানঘাটে রয়েছে শেড, শৌচালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা ও আলো। শেষযাত্রা আর কাদা-পথে ক্লান্তির গল্প নয়, বরং সম্মানজনক বিদায়ের ব্যবস্থা এখন গ্রামবাসীর নাগালে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাঁটুতে কনের বেনারসি, বরের ধুতি! জল ডেঙ্গিয়ে মন্দিরে, মনে রাখার মত বিয়ে সারলেন বীরভূমের নবদম্পতি
উত্তর ২৪ পরগনার ওই এলাকার স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা বললেন, “আগে অনেক কষ্ট হত। বর্ষায় মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে যেতে কাদা আর জলে হাঁটতে হত। এখন যেন একটু শান্তি পেলাম, অন্তত শেষটুকু ভালভাবে দেওয়া যাবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই শ্মশান ঘাট শুধু শ্মশান নয়—এ যেন শত শত মানুষের এক নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা, এক চিরকালের স্বস্তি। শেষ বিদায় এবার হবে সম্মানের সঙ্গে, সুরক্ষিত পরিকাঠামোয়, আত্মমর্যাদার সঙ্গে।
জুলফিকার মোল্যা