উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির আতাপুর এলাকার ‘সুখের স্বর্গ ফাউন্ডেশন’-এর সদস্যরা সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে গরান, গেওয়া, কেওড়া, সুন্দরী সহ বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের বীজ সংগ্রহ করে তা বাড়িতে চারা আকারে তৈরি করছেন। এরপর এই চারা নদীর ধারের খালি বিস্তীর্ণ এলাকায় রোপণ করা হচ্ছে। ফাউন্ডেশনের সদস্য স্বপন সুঁই জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে তারা প্রায় পাঁচ লক্ষ ম্যানগ্রোভ চারা তৈরি করেছেন। এই উদ্যোগ শুধু পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, সুন্দরবনের ভাঙন প্রতিরোধ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বনগাঁতে বসেই এবার মিলবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ক্যানসারের চিকিৎসা! দেখে নিন কোথায়, কীভাবে?
ম্যানগ্রোভ চারা তৈরির এই ধারাবাহিক প্রয়াস সুন্দরবনের ভাঙন রোধ ও গ্রামীণ মানুষের জীবিকায় সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি, আগামী প্রজন্মের জন্য সবুজ সুন্দরবন রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে আরও বিস্তৃত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন চাষের জমি, নদীর পাড় ও গ্রামের রাস্তার ধারে ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করে যুবকরা এলাকায় সবুজ পরিসর তৈরি করছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বৃষ্টির জল ব্যবহারের মাধ্যমে চারা রোপণ সহজ ও সাশ্রয়ী করে তোলা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে অন্তত আরও দশ লক্ষ ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করা। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ঝুঁকি কমাতে ম্যানগ্রোভের বিকল্প নেই, তা মাথায় রেখেই এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলেছে এই অভিযান। স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ম্যানগ্রোভের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত গুরুত্ব নিয়েও চলছে প্রচার। ফলে, সুন্দরবনের নদীর পাড় রক্ষায় নতুন প্রজন্মের এই উদ্যোগ একটি নিঃশব্দ বিপ্লবের আকার নিচ্ছে।
জুলফিকার মোল্যা