প্রশ্ন, তাহলে এজেন্সি এত সক্রিয় কেন? উত্তর ২৪ পরগনার একটি দুর্গম পথ হলেও, ঝুঁকিহীন পাচারের রাস্তা হল সাহেবখালি পঞ্চায়েত এলাকা। সাহেব খালির গরু পাচারের লাইন ছিল সুব্রত বর্মন নামে একজনের হাতে।তিনি থানা পুলিশ, বিএসএফ সমস্ত কিছুই বজায় রাখতেন।গরু যেত উত্তর 24 পরগনার সরবেড়িয়া, ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালীর ওপর দিয়ে সাহেবখালি অঞ্চলে।সেখান থেকে কালিন্দী নদীর পার হয়ে চলে যেত বাংলাদেশ।সাহেব খালি পঞ্চায়েতের চারাল খালি, কানাইকাটি ,ছোট সাহেব খালি।এই সমস্ত জায়গা দিয়ে রাতের অন্ধকারে গরু পাচার হতো।এবার থেকে ওপারে দুরমুস খালি গ্রামে গরু পৌঁছে যেত। সাহেব খালি পঞ্চায়েতের সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোর বাসিন্দারা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে থাকতো।কারণ গরু পারাপার হলে সীমান্ত এলাকার মানুষদের বিএসএফ এসে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে আরম্ভ করে মারধর করত।
advertisement
আরও পড়ুন - Indian Railways: বড় সিদ্ধান্ত, নির্দিষ্ট স্টেশন থেকেই ট্রেনে উঠুন, না হলে বাতিল হবে আপনার টিকিট
অন্যদিকে যারা করছে তাদের নাম জেনেও প্রকাশ করার উপায় ছিল না গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীরা কেউই নিজস্ব পরিচয় জানাতে চাইছেন না।তবে গরু পারাপার এক বছরের কিছু বেশি হলো বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এখনো মাঝে মধ্যে বিড়ি থেকে আরম্ভ করে বেশ কিছু জিনিস এ দেশ থেকে বাংলাদেশে মুহূর্তের মধ্যে পাচার হয়। গ্রামবাসীদের কথায় দূরমুস খালি গ্রামে কয়েকটি নৌকো আছে। তাতে খুব উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন বসিয়েছে পাচারকারীরা। প্রায় এক কিলোমিটার চওড়া নদী মুহূর্তের মধ্যে পার হয়ে যায় নৌকাগুলো। বিএসএফ তাদের তাড়া করতে গিয়েও বহুবার নাগাল পায়নি। তবে রাতের অন্ধকারে এখনো কোন কোন জায়গা দিয়ে লুকিয়ে চুরিয়ে ওই দ্রুত গতি সম্পন্ন নৌকার মাধ্যমে পাচার চলছে, বলে দাবি গ্রামবাসীদের।
SHANKU SANTRA