কিন্তু এই দুর্ঘটনা অন্য মাত্রা পেয়েছে মৃত এবং আহতদের সঙ্গে সিবিআই-এর হাতে ধৃত সন্দেশখালির একসময়ের ত্রাস শেখ শাহজাহানের যোগ উঠে আসায়৷দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি শাহজাহানের বিরুদ্ধে করা সিবিআই-এর মামলার অন্যতম সাক্ষী ভোলা ঘোষের৷ দুর্ঘটনায় ভোলা ঘোষ প্রাণে বাঁচলেও তাঁর ছেলে সত্যজিতের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃত্যু হয়েছে গাড়ি চালক শাহনুর মোল্লারও৷
ভোলা ঘোষের পরিবারেরও অভিযোগ, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়৷ মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষীকে সরিয়ে দিতে ইচ্ছে করেই ট্রাক দিয়ে গাড়িতে ধাক্কা মারা হয়েছে বলে অভিযোগ ভোলা ঘোষের পরিবারের৷ তাঁদের আরও অভিযোগ, ট্রাকটির চালক আলিম মোল্লাও শাহজান ঘনিষ্ঠ এবং সন্দেশখালির বাসিন্দা বলেই অভিযোগ ভোলা ঘোষের পরিবারের৷ পলাতক ট্রাক চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷ অন্যদিকে আহত ভোলা ঘোষকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ পরে অবশ্য তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ এ দিনও ছোট ছেলে সত্যজিৎকে নিয়ে বসিরহাট আদালতেই যাচ্ছিলেন ভোলা ঘোষ৷
advertisement
বাড়ি ফিরে ভোলা ঘোষ বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ শাজাহান এখনো জেলে বসে ফোন করে তাদের লোকদের নির্দেশ দেয়। আমাকে মেরে ফেলার টার্গেট অনেকদিন ধরেই করা হয়েছিল। মাঝেমধ্যে লোককে দিয়ে হুমকি দেওয়ানো হতো। প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। রাস্তায় এইভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা হবে বুঝতে পারিনি। সকালে যখন বাড়ি থেকে বেরোই আমাকে ফলো করে কয়েকজন খবর দিয়েছিল আমি নিশ্চিত। ঘাতক গাড়ির মধ্যে থাকা আলমকে আমি দেখতে পেয়েছি। ও শেখ শাহজাহানের লোক। আমি শাহজাহানের সঙ্গে ব্যবসা করতাম। পরবর্তীতে সমস্যা হয় আমি সরে যাই। আমাকে তখন থেকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। ধর্ষণ মামলার শুনানিতেই আজকে কোর্টে যাচ্ছিলাম। সবার নাম দিয়ে এসেছি থানায়।’
