এই সেতু পার হয়ে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও এই সেতু দিয়েই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। বর্ষার সময় তো সেতু পার হওয়াই যেন মৃত্যু ফাঁদে পা দেওয়ার মত। কোন ধরনের হাতল না থাকায় পা হড়কে জলেও পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে প্রতিনিয়ত। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই এলাকার মানুষের কাছে এই সেতুটি শুধু একটি কাঠামো নয়, বরং জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত একটি অবলম্বন।
advertisement
আরও পড়ুন: খুদে পড়ুয়াদের আকর্ষণীয় সব কীর্তি! বালসা কাঠ, কাগজ দিয়ে বানাল গ্লাইডার, ফাইটার প্লেন, জেট…
যাতায়াত, বাজার করা, স্কুল-কলেজে যাওয়া—সব কিছুর সঙ্গেই এই সেতুটি অপরিহার্য। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির সংস্কারে কোন সরকারি হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুবার পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোন স্থায়ী সমাধান আসেনি। তাই এবার তাদের জোরাল দাবি, অবিলম্বে এই বাঁশের সেতুকে পাকা করে পুনর্গঠন করা হোক, যাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আর যাতায়াত করতে না হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্ষা এলেই দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়, বিশেষ করে স্কুলগামী ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছনোর পথও এই সেতু। অসুস্থদের কাঁধে নিয়ে এই ভাঙা সেতু পার করা কার্যত অসম্ভব। প্রশাসনের তরফে কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবে গ্রামবাসীরা এবার আর চুপ থাকতে রাজি নন। তাদের মতে, “নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে সবাই আসে, কিন্তু এই সেতুর খোঁজ কেউ রাখে না।” এখন দেখা যাক, এই দাবির সামনে প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয়।
জুলফিকার মোল্যা