সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে মাত্র পাঁচ দিন চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বাকি দুই দিন হাসপাতাল কার্যত অচল। ওই দুই দিনে কোনও রোগী অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য ভরসা করতে হয় দূরের হাসপাতালগুলির ওপর। হাসপাতালের চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ডাক্তার নিয়োগের দাবি জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: পড়াশোনার সঙ্গে ব্যবসায় হাতেখড়ি, হাতেকলমে ‘বেচাকেনা’ শিখল পড়ুয়ারা! জমাটি ফুড ফেস্টিভ্যাল স্কুলেই
ফলে প্রতিদিন অসুখ-বিসুখে ভোগা সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম সমস্যায়। রাতের বেলায় যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন বিপদের মাত্রা আরও বাড়ে। ডাক্তার না থাকায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। তাতে শুধু সময় নষ্টই নয়, প্রাণহানির আশঙ্কাও কালো ছায়ার মতো ভাসছে। শুধু ডাক্তার সংকটই নয়, হাসপাতালের পরিকাঠামোর অবস্থাও অত্যন্ত জীর্ণ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ছাদ ও চাঙ্গড় ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। কর্মরত চিকিৎসকরা জানান, এই অবস্থায় পরিষেবা দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তা ও পরিষেবার মান, দুইই প্রশ্নের মুখে। স্থানীয়দের দাবি, “এই হাসপাতালে যদি নিয়মিত ডাক্তার থাকত, তাহলে সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হত। এখন প্রতিদিনই অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।” কবে সমস্যার সমাধান হবে, সেই আশায় দিন গুনছেন সুন্দরবনের মানুষ।





