উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের টাকি পর্যটন কেন্দ্র ইতিমধ্যে বিশ্বের ভৌগলিক মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। আট থেকে আশি। শীতের শুরু থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে উপভোগ করে টাকির ইছামতি নদীর সৌন্দর্য। পাশাপাশি গোলপাতা জঙ্গল, মিনি সুন্দরবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন পর্যটকরা।
advertisement
ওপার বাংলা এপার বাংলার তথা ভারত বাংলাদেশ মাঝ বরাবর বয়ে গেছে ইছামতি নদী। তোমার এটাকে সৌন্দর্য দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তবে প্রাচীনকালেই টাকি ছিল জমিদারদের তত্ত্বাবধানে। একটা সময় প্রবাদ ছিল টাকির লাঠি, সাতক্ষীরার মাটি ও গোবরডাঙ্গার হাতি। আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগের কথা, তৎকালীন জমিদারি প্রথার আমলে টাকির জমিদার ছিল প্রতাপশীল। আজকের দিনে টাকিতে বিভিন্ন ঘরবাড়ি এবং জনবসতিপূর্ণ হলেও সেই সময় এলাকাটি পরিপূর্ণ ছিল ঘন জঙ্গলে।
ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ থাকায় সেখানে ডাকাত দলের আখড়া গড়ে উঠেছিল। ডাকাত দলের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে টাকির জমিদাররাও। সেই ডাকাতদলকে জব্দ করতে টাকির জমিদার গড়ে তুলেছিলেন একটি বিশাল লেঠেল বাহিনী। যা তৎকালীন সময়ে টাকির জমিদার ব্যবস্থায় সাড়া ফেলেছিল। সেই দিনের সেই প্রতাপের চিহ্ন আজও বহন করে রেখে চলেছে এই মূর্তিটি। এমনই মনে করছেন এলাকার অনেকেই।
জুলফিকার মোল্লা