কর্মশালায় উঠে এল বিপন্ন সুন্দরবনের বাস্তব চিত্র ও ভবিষ্যৎ সংকটের কথা। অনুষ্ঠানে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা সুন্দরবনের কৃষক, কৃষি ব্যবস্থা, মৎস্যজীবীদের জীবন সংগ্রাম, নদীর ক্ষয় ও দূষণ, বন্যপ্রাণী ও সাপ, পশুপাখির অস্তিত্ব সংকট, এমনকি প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকা বাল্যবিবাহ ও নারী পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যাগুলি তুলে ধরেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, সুন্দরবনকে বাঁচাতে পরিবেশগত সচেতনতা যেমন জরুরি, তেমনি কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা দূর করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের উৎসাহজনক উপস্থিতি কর্মশালার প্রাণচাঞ্চল্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। তরুণ বিজ্ঞান কর্মীরা প্রাণবন্তভাবে আলোচনা করেন। সুন্দরবনের নদী রক্ষায় মানুষের ভূমিকা কী, কীভাবে দৈনন্দিন জীবনযাপনের ছোট ছোট পদক্ষেপ পরিবেশ রক্ষায় বড় ভূমিকা নিতে পারে ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। কর্মশালার বিশেষ আকর্ষণ ছিল ‘ম্যাজিক নয়, লজিক’ প্রদর্শনী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এখানে তরুণ বিজ্ঞানপ্রেমীরা হাতে-কলমে দেখান ও শেখান যে কুসংস্কার বা তথাকথিত ‘মাদারিকা খেলা’র কোনও রহস্য নেই। সবই বিজ্ঞানের ভিতরে থাকা যুক্তি ও পরীক্ষার ফল। এই প্রয়াস অংশগ্রহণকারীদের বিশেষভাবে মন জয় করে। শেষে বক্তারা একসুরে জানান, সুন্দরবনকে রক্ষা করা শুধু পরিবেশবিদদের কাজ নয়, এটি প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। দূষণমুক্ত পরিবেশ, অপবিজ্ঞানমুক্ত সমাজ এবং বিজ্ঞানভিত্তিক চেতনা গড়েই সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা সম্ভব।





