এই উদ্যোগের ফলে দৃষ্টিহীন প্রতিযোগীরাও মেধা ও কৌশলের জোরে সাধারণ দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন দাবাড়ুদের সঙ্গে সমান তালে টক্কর দিতে পারবেন। উদ্যোক্তাদের দাবি, দাবার বোর্ড সবার জন্যই এক- ৬৪টি ঘর। সেই ৬৪ ঘরের মধ্যেই শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে নিজেদের জয়ের গল্প লিখছেন বহু দৃষ্টিহীন দাবাড়ুরা। অডিও বইয়ের মাধ্যমে নৌকার চাল কেমন, ঘোড়া কীভাবে চলে, রাজা-রানির চালের সূক্ষ্ম কৌশল-সবই বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বছর শেষে শহরে পা রাখছে সালমান, সঙ্গে অরুণিতা! বড়দিন থেকে নববর্ষ, আটদিনের মেগা আয়োজন মালদহে
ফলে কানে শুনে এবং আঙুলের স্পর্শে বোর্ডে চাল রপ্ত করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। গুমা প্রেরণা অডিও লাইব্রেরির সভাপতি তারক চন্দ্র জানান, আগে উচ্চশিক্ষার জন্য দৃষ্টিহীনদের অডিও লাইব্রেরি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু দাবা প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে উপযোগী কোনও বই বা সহায়তা ছিল না। সেখান থেকেই অডিও বইয়ের মাধ্যমে দাবা শেখানোর ভাবনা আসে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও বলেন, দক্ষ দাবা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের নকশা সংগ্রহ করে তা অডিও আকারে দেশের নানা প্রান্তে পৌঁছে দেওয়াই ছিল লক্ষ্য। পরবর্তীতে এই অভিনব অডিও বুক ক্রীড়া সংস্থার হাতেও তুলে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তাদের আশা, এই উদ্যোগের ফলে আগামী দিনে দৃষ্টিহীন দাবাড়ুরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রতিপক্ষকে ‘মাত’ দিতে এগিয়ে যেতে পারবেন।






