অভিযোগ, রুদ্র বাড়ি থেকে কাজে বেরোনোর পর আর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর কোন খোঁজ না পেয়ে, উদ্বিগ্ন হয়ে তাঁর মা রত্না বিশ্বাস গাইঘাটা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর, রত্না বিশ্বাসের মোবাইলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, রুদ্রকে আটকে রাখা হয়েছে এবং ২ লক্ষ টাকা দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। টাকা না দিলে ভয়াবহ পরিণতির হুমকিও দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: পৌর মার্কেটে পরিস্থিতি দেখে ‘মাথা গরম’ আধিকারিকদের, আগুন লাগলে রক্ষে নেই! হাসপাতালেও গলদ
বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে জানায় রুদ্রর পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নেমে মোবাইল নম্বরটি ট্র্যাক করে কাঁকিনাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশ সেখানে পৌঁছে অপহৃত রুদ্রকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দানিশ শরিফকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দানিশ ও রুদ্র একই জায়গায় কাজ করতেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কাজের জায়গায় টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই অপহরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। এদিন ধৃত দানিশ শরিফকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন এই অপহরণ তার কারণও জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।






