জানা যাচ্ছে, ভারতের সংবিধানের অধীনে তফসিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত সিকিমের ১২টি বাদ পড়া আদিবাসী জাতিগত সম্প্রদায়ের নৃতাত্ত্বিক প্রতিবেদন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ডঃ সত্যব্রত চক্রবর্তী। গত ১৮ই অগাস্ট, ২০২৫-এ নিউ দিল্লিতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেন।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতার ৭৯ বছর পরেও বদলায়নি এই পাড়ার মানুষের জীবনযাত্রা! আসল ঘটনা জানলে ‘থ’ হয়ে যাবেন
advertisement
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ডঃ চক্রবর্তীর গবেষণা শুধু তথ্যসমৃদ্ধই নয়, তাঁদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে। এই কাজ ভবিষ্যতে সিকিমের আদিবাসী সম্প্রদায়গুলির সাংবিধানিক স্বীকৃতি পেতে বড় সহায়ক হবে বলেও মনে করেন প্রেম সিং তামাং।
ডঃ সত্যব্রত চক্রবর্তী অশোকনগরের বাসিন্দা। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ও পরবর্তীতে নৃতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নৃতত্ত্ব ও সমাজবিজ্ঞানের গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করছেন। তাঁর গবেষণার মূল ক্ষেত্র হল, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রান্তিক সম্প্রদায়, আদিবাসী সংস্কৃতি ও সামাজিক ইতিহাস। ইতিপূর্বে তিনি পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায় নিয়ে একাধিক প্রবন্ধ ও গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন যা দেশ-বিদেশের দরবারে বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণমূলক আলোচনায় ডঃ সত্যব্রত চক্রবর্তীকে বহুবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁর এই সম্মান শুধু ব্যক্তিগত গৌরব নয় বরং গোটা অশোকনগর তথা বাংলার গর্ব। সমাজবিজ্ঞানী মহল মনে করছে, তাঁর কাজ ভবিষ্যতে ভারতের বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও সংবিধানিক কাঠামোকে আরও দৃঢ় করতে সহায়ক হবে। তিনি এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি অশোকনগরে থাকা পরিবারও।