প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করছেন গৃহস্থালির বর্জ্য পদার্থ। সেই বর্জ্য আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে গড়ে ওঠা কঠিন বর্জ্য পদার্থ নিরাপদ নিষ্কাশন কেন্দ্রে। সেখানে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি করা হচ্ছে মানসম্মত জৈব সার।
advertisement
এই পুরো প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন স্থানীয় মহিলারা। বর্জ্য বাছাই, প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে সার তৈরির প্রতিটি ধাপে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা। ফলে স্বনির্ভরতার পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতার বার্তাও ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামজুড়ে। তৈরি হওয়া এই জৈব সার গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এলাকার খামারি ও কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে এই জৈব সার ব্যবহারে চাষিরা পাচ্ছেন ভাল ফলন। পাশাপাশি মাটির উর্বরতাও বজায় থাকছে বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে একদিকে যেমন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা অনেকটাই কমেছে, তেমনই গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন দিশা দেখাচ্ছে এই প্রকল্প। ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবেশ রক্ষা, কর্মসংস্থান ও কৃষি উন্নয়ন—এই তিনের মেলবন্ধনে বসিরহাটের সংগ্রামপুর শিবহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে এলাকাবাসীর।





