এরই মধ্যে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে দ্রুতগতির গাড়ি চলাচল পথযাত্রীদের নিত্যদিনের সমস্যায় পরিণত হয়েছে। একের পর এক যানবাহন ছুটে চলায় বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগ ইতিমধ্যেই নজরদারি জোরদার করেছে। বসানো হয়েছে একাধিক স্পিড মিটার, বাড়ানো হয়েছে চেকিং, তৈরি হয়েছে স্লো রাইড বাম্পারও। তবে এখানেই শেষ নয়! এবার আরও বড় উদ্যোগ নিল ট্রাফিক বিভাগ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাঁধানো নেই পুকুর পাড়, অকালে নাবালকের মর্মান্তিক পরিণতি! পৌরমাতার ‘দোষে’ কি তবে এমন ঘটনা!
হাইওয়ে অথরিটি বোর্ডের অনুমতি নিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের সমস্ত ওভারব্রিজের নীচে থাকা দোকানপাট ও পার্কিং সরিয়ে দেওয়ায় ব্রতী হয়েছেন তারা। এর পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরেই ব্যারাকপুর কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের মোট ১৭টি আন্ডারপাস খালি করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই বাসুদেবপুর ও পানপুর মোড়ের আশপাশেও রাস্তা ফাঁকা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রাত ১ টায় প্রবল বিস্ফোরণে কাঁপল মধ্যমগ্রাম! নেপথ্যে উত্তরপ্রদেশ যোগ? যুবকের মৃত্যু
সমস্ত বিভাগের কার্যক্রম সঠিকভাবে এগোচ্ছে কিনা তারই পরিদর্শনে এসে এসিপি ট্রাফিক রাজর্ষি শংকর বণিক জানান, “অথরিটি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্ডারপাস থেকে দোকান ও পার্কিং সরানো হচ্ছে। এমনকি গজিয়ে ওঠা টোটো স্ট্যান্ডগুলোকেও রাতারাতি নির্মূলের পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। পাশাপাশি সরকারি জায়গা যাতে অবৈধভাবে দখল না হয়, সেদিকেও ব্যাপক নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এমত অবস্থায় মনে করা যাচ্ছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পর্যালোচনায় এর একটি স্থায়ী বন্দোবস্ত করা সম্ভব হবে। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, এই উদ্যোগের ফলে এক্সপ্রেসওয়ের উপর চাপ কমবে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পাবে।