জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় দুটি বাসের চালক কন্ডাক্টরের মধ্যে জাতীয় সড়কে বাস দাঁড় করিয়ে এই হাতাহাতি হয়। তারপরেই এক বাসের কন্ডাকটরের মাথায় বড় স্ক্রু-ড্রাইভার ঢুকিয়ে দিল আর এক বাসের মালিকের ছেলে। সঙ্গে ছিল ওই বাসের কন্ডাকটরও বলে জানা গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় মধ্যমগ্রামের কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ গিয়ে ওই বৃদ্ধ কন্ডাকটরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মধ্যমগ্রাম থানার হাতে মালিকের ছেলে ও কন্ডাকটরকে তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় ওই বাসের চালক কন্ডাকটর ও মালিকের ছেলেকে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনা! প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, 79B ও DN18 রুটের দুটি বাসের মধ্যে রেষারেষি ও এক বাস আর এক বাসকে চেপে দেওয়ার অভিযোগে মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় এসে 79B কে আটকায় DN18 রুটের বাস। শুরু হয় বচসা, হাতাহাতি। অভিযোগ DN18 র কন্ডাকটর এবং বাস মালিকের ছেলে স্ক্রুড্রাইভার নিয়ে আসে মারতে 79B র বাসের চালক ও কন্ডাকটরকে। চালকের পায়ে স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে খোঁচা দিলেও বৃদ্ধ কন্ডাকটরের চোখের উপরে কপালে স্ক্রু-ড্রাইভার ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে মধ্যমগ্রাম ট্রাফিকের কর্তব্যরত আধিকারিক সহ ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। স্থানীয় মানুষ সহ যাত্রীরা সেই দৃশ্য দেখে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে DN18 র বাসের কর্মীদের উপর, মারমুখী হয়ে পরে যাত্রীরা। তাদের হাত থেকেও উদ্ধার করে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তদের। পাশাপাশি গুরুতর আহত রক্তাক্ত বৃদ্ধ কন্ডাক্টরকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে দীর্ঘদিন ধরেই এই রুটে বাসের রেষারেষির ঘটনা যাত্রীদেরও আতঙ্ক তৈরি করেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক এখন সেই আবেদনই জানানো হচ্ছে যাত্রীদের তরফে।






