রাজ্য সরকারের ঘোষিত ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার অনুদান পৌঁছে গেছে পুজো মণ্ডপে। উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত শহর বসিরহাটে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সদা সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। বসিরহাট পুলিশ জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ডক্টর হোসেন মেহেদী রহমানের নেতৃত্বে মহকুমাশাসক আশীষ কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ, বসিরহাট থানার আইসি রক্তিম বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অদিতি রায়চৌধুরী, টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, সন্দেশখালীর বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, মিনাখার বিধায়িকা ঊষা রানী মণ্ডল এবং বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তসী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি ও পূজা কমিটির কর্তার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। সীমান্ত শহর বসিরহাটে দুর্গা পুজোয় নিরাপত্তা আঁটসাঁট, পুলিশ–বিএসএফ বৈঠক।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে পুরুলিয়ায় সামাল সামাল পরিস্থিতি! আতঙ্ক অযোধ্যা পাহাড়তলী এলাকায়, রাতের ঘুম উড়ল বাসিন্দাদের
উত্তর ২৪ পরগনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—পুজো চলাকালীন বসিরহাট মহকুমার প্রতিটি কোণ নজরদারিতে থাকবে। ইতিমধ্যেই গোটা মহকুমাজুড়ে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নিরাপত্তায় কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ পুলিশ। পাশাপাশি বিএসএফ-এর সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ গাইডলাইন জারি করা হয়েছে যাতে ভিড় সামলানো, যানজট নিয়ন্ত্রণ ও নির্বিঘ্ন প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করা যায়। প্রতিটি মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ে আলাদা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ফলে পুজোর ভিড় সামলানো থেকে শুরু করে প্রতিমা দর্শনের সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বেও থাকবে পুলিশ-প্রশাসন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে টাকি ঘাটে বিসর্জনের জন্য নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা হয়েছে। সীমান্ত শহরে প্রতিবছরই দর্শনার্থীদের ঢল নামে। তাই এবছর যাতে উৎসবের আনন্দে কোনও বিরূপ প্রভাব না পড়ে, তার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। এককথায়, দুর্গোৎসবকে ঘিরে গোটা বসিরহাট মহকুমা সেজে উঠছে উৎসবের আলোয়, আর নিরাপত্তার আঁটসাঁট বেষ্টনীতে এবারের দুর্গোৎসব হবে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর—এমনটাই আশ্বাস পুলিশের।