পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোররাতে ডাকাতির উদ্দেশে বসিরহাট থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সশিনা বাজার সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। গোপন সূত্রে সেই খবর পৌঁছতেই বসিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি রক্তিম চট্টোপাধ্যায় তৎপর হন। তাঁর নির্দেশে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জায়গা ঘিরে ফেলেন। আচমকা পুলিশের উপস্থিতিতে ওই দুষ্কৃতীরা ছত্রভঙ্গ হওয়ার চেষ্টা করলেও পাঁচজনকে হাতেনাতে পাকড়াও করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এগরায় বড়সড় ডাকাতির প্ল্যান! গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিল পুলিশ, আগ্নেয়াস্ত্র সহ ৫ গ্রেফতার
ধৃতরা হলেন দীপক শীল, সুবীর দে, হাফিজুর রহমান, আমিরুল রহমান ও মোকসেদ আলী সর্দার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই ও রাহাজানির একাধিক অভিযোগ জমে রয়েছে। রাতের অন্ধকারে বাজার এলাকা ও আশেপাশের গ্রামের পথচলতি মানুষকে টার্গেট করে তাঁরা চুরি, ছিনতাই ও হুমকি-ধমকির মতো দুষ্কর্ম চালাত বলেই সন্দেহ।
অভিযান চলাকালীন ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ৭ এমএম পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি ওয়াকিটকি সেট এবং ১৫ হাজার টাকার ভারতীয় জাল নোট। পুলিশ মনে করছে, পরিকল্পিত ডাকাতির উদ্দেশেই তাঁরা ওই সরঞ্জাম নিয়ে সেখানে জড়ো হয়েছিল। আরও কয়েকজন সঙ্গী অন্ধকারের সুযোগে পালিয়ে যায়। ধৃতদের এদিন বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয়। সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁদের হেফাজতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে পুলিশি তৎপরতায় বড়সড় অপরাধমূলক পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় স্বস্তিতে স্থানীয়রা। ধৃতদের কাছ থেকে অস্ত্র ও জাল নোটের পাশাপাশি একটি চারচাকা গাড়িও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। গাড়িটি কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছিল, সেটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।






