৭০ বছর ধরে চলে আসা এই ঐতিহ্যবাহী রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম লোকউৎসব মেলার অন্যতম আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে কৃষি প্রদর্শনী। জেলার নানা প্রান্তের কৃষক ও চাষিদের ফলানো অস্বাভাবিক আকৃতির সবজি ও ফল প্রদর্শনীতে নিয়ে আসা হয়। সাধারণত বাজারে সবজি ও ফলের যে আকৃতির দেখা মেলে, এই প্রদর্শনীতে তার চার গুণ আকৃতির সবজি ও ফলের দেখা মেলে বলেই দাবি উদ্যোক্তাদের।
advertisement
অস্বাভাবিক আকৃতির হওয়ায় এই প্রদর্শনী দেখতে বিশেষ আকর্ষণ থাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যেখানে কচিকাঁচা থেকে সকল বয়সের মানুষই ভিড় জমান। আর এবারের এই কৃষি প্রদর্শনীর বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে ১৫ ফুট লম্বা মানকচু, ৩৫ কেজির লাউ, চার ফুটের চাল কুমড়ো, এক থেকে দেড় কেজির বেগুন ও চার থেকে পাঁচ কেজির ফুলকপি, মাশরুম-সহ অন্যান্য বড় আকারের ফলমূল। প্রদর্শনীর সামনেই রয়েছে প্রায় কুড়ি ফুটের আখ।
জেলার নানা প্রান্তের কৃষকদের পরিচর্যার ফলে এই অস্বাভাবিক আকৃতির সবজি ও ফল সাধারণ মানুষকে দেখিয়ে উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি কৃষি সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও বাড়তি আকর্ষণ যোগ করছে। শুধু তাই নয়, আকৃতি ও ওজনের ওপর নির্ভর করেই মেলা কমিটির তরফ থেকে কৃষকদের পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে দিয়েই আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার-সহ চাষবাসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি করছে বলেও মনে করেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিন হাবড়ায় নিজের বাড়িতে ফলানো বৃহৎ আকৃতির সবজি নিয়েই হাজির এক পরিবার। জানান, মানুষের দেখার জন্যই এই প্রদর্শনীতে নিয়ে আসা ফল। দেখা যায় রীতিমতো কাঁধে করে বৃহৎ আকৃতির ওই মান কচু এবং কামরাঙ্গা ফল তারা নিয়ে এসেছেন এই প্রদর্শনীতে। কোন রকম সার ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে এই ফলন হয়েছে বলেও জানান তারা। বিকেলের পর থেকেই লম্বা লাইন ব্যাপক ভিড় দেখা যাচ্ছে এই প্রদর্শনীর সামনে। তাই বৃহৎ আকৃতির এই সবজি ও ফল দেখতে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন বাণীপুর লোক উৎসব মেলার কৃষি প্রদর্শনীতে।





