East Bardhaman News: মানুষের দাপাদাপিতে বাসস্থান বদল! পূর্বস্থলীর পরিযায়ী পাখিদের নতুন ঠিকানা ছাড়িগঙ্গা, প্রকৃতির কোলে ১ দিনের অপূর্ব ট্রিপ

Last Updated:
East Bardhaman Migrant Birds: মানুষের লাগাতার দাপাদাপি ও অতিরিক্ত পর্যটক চাপে অবশেষে বাসস্থান বদলাতে বাধ্য হল কালনার পূর্বস্থলীর অধিকাংশ পরিযায়ী পাখির দল। শান্ত ও নিরাপদ পরিবেশের খোঁজে ছাড়ি গঙ্গা পাখিদের নতুন ঠিকানা।
1/5
কিছু মানুষের লাগাতার দাপাদাপি ও অতিরিক্ত পর্যটক চাপে অবশেষে বাসস্থান বদলাতে বাধ্য হল কালনার পূর্বস্থলীর অধিকাংশ পরিযায়ী পাখির দল। প্রায় দু’দশক ধরে পূর্বস্থলীর চুপি কাষ্ঠশালীর ঘাট এলাকায় আশ্রয় নেওয়া পাখিরা এবার তুলনামূলক শান্ত ও নিরাপদ পরিবেশের খোঁজে নতুন ঠিকানা বেছে নিয়েছে। পূর্বস্থলী থানার ঘাট সংলগ্ন ছাড়ি গঙ্গা এলাকায় তারা নতুন করে আবাস গড়ে তুলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।     (তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
কিছু মানুষের লাগাতার দাপাদাপি ও অতিরিক্ত পর্যটক চাপে অবশেষে বাসস্থান বদলাতে বাধ্য হল কালনার পূর্বস্থলীর অধিকাংশ পরিযায়ী পাখির দল। প্রায় দু’দশক ধরে পূর্বস্থলীর চুপি কাষ্ঠশালীর ঘাট এলাকায় আশ্রয় নেওয়া পাখিরা এবার তুলনামূলক শান্ত ও নিরাপদ পরিবেশের খোঁজে নতুন ঠিকানা বেছে নিয়েছে। পূর্বস্থলী থানার ঘাট সংলগ্ন ছাড়ি গঙ্গা এলাকায় তারা নতুন করে আবাস গড়ে তুলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।     (তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
2/5
স্থানীয়দের দাবি, গত প্রায় তিন বছর ধরে কাষ্ঠশালীর পরিবেশে পরিবর্তন এবং নৌকা বোঝাই পর্যটকদের ভিড় বাড়ায় প্রায় ৭০ শতাংশ পরিযায়ী পাখি ধীরে ধীরে এলাকা ছাড়তে শুরু করে। বর্তমানে তারা নবপল্লী ঘাট, থানার ঘাট, টালিভাঁটা ঘাট ও পুরাতন বাজার সংলগ্ন ছাড়ি গঙ্গার প্রায় তিন কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বসবাস করছে। তুলনামূলক নিরিবিলি এই পরিবেশে পাখিরা এখন অনেকটাই নিশ্চিন্তে বিচরণ করছে।
স্থানীয়দের দাবি, গত প্রায় তিন বছর ধরে কাষ্ঠশালীর পরিবেশে পরিবর্তন এবং নৌকা বোঝাই পর্যটকদের ভিড় বাড়ায় প্রায় ৭০ শতাংশ পরিযায়ী পাখি ধীরে ধীরে এলাকা ছাড়তে শুরু করে। বর্তমানে তারা নবপল্লী ঘাট, থানার ঘাট, টালিভাঁটা ঘাট ও পুরাতন বাজার সংলগ্ন ছাড়ি গঙ্গার প্রায় তিন কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বসবাস করছে। তুলনামূলক নিরিবিলি এই পরিবেশে পাখিরা এখন অনেকটাই নিশ্চিন্তে বিচরণ করছে।
advertisement
3/5
চুপি কাষ্ঠশালীর ঘাট থেকে নবপল্লী কিংবা থানার ঘাটের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ছ’ কিলোমিটার। বর্তমানে পরিযায়ী পাখি দেখার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে উঠে আসছে নবপল্লীর বাঁশের ব্রিজ ঘাট। এখান থেকেই অল্প সময়ের মধ্যেই চোখে পড়ছে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি, যা পর্যটকদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে উঠছে।
চুপি কাষ্ঠশালীর ঘাট থেকে নবপল্লী কিংবা থানার ঘাটের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ছ’ কিলোমিটার। বর্তমানে পরিযায়ী পাখি দেখার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে উঠে আসছে নবপল্লীর বাঁশের ব্রিজ ঘাট। এখান থেকেই অল্প সময়ের মধ্যেই চোখে পড়ছে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি, যা পর্যটকদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে উঠছে।
advertisement
4/5
এই এলাকায় স্থানীয় স্বল্পসংখ্যক মৎস্যজীবীরা অল্প খরচে নৌকাভ্রমণের ব্যবস্থা করছেন। ঘণ্টা দেড়েকের জন্য প্রায় ১৫০ টাকায় নৌকার মাঝিরা পর্যটকদের পরিযায়ী পাখির মূল বিচরণভূমি ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন। এখানে নেই দামি এসএলআর ক্যামেরা হাতে বহু নৌকার ভিড় কিংবা কোলাহল। ফলে শান্ত পরিবেশে পাখিরাও নির্বিঘ্নে অবস্থান করছে।
এই এলাকায় স্থানীয় স্বল্পসংখ্যক মৎস্যজীবীরা অল্প খরচে নৌকাভ্রমণের ব্যবস্থা করছেন। ঘণ্টা দেড়েকের জন্য প্রায় ১৫০ টাকায় নৌকার মাঝিরা পর্যটকদের পরিযায়ী পাখির মূল বিচরণভূমি ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন। এখানে নেই দামি এসএলআর ক্যামেরা হাতে বহু নৌকার ভিড় কিংবা কোলাহল। ফলে শান্ত পরিবেশে পাখিরাও নির্বিঘ্নে অবস্থান করছে।
advertisement
5/5
হাওড়া–কাটোয়া রেলপথে পূর্বস্থলী রেলস্টেশন থেকে এই নতুন গন্তব্যস্থল পায়ে হেঁটে মাত্র ১০ মিনিটের পথ। রেলস্টেশন থেকে নবপল্লীর ঘাট বা ‘ভাইরাল বাঁশের ব্রিজ ঘাট’ বললেই স্থানীয়রা সহজেই পথ দেখিয়ে দেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বাঁশের ব্রিজ দেখতে আসা কয়েকজন মানুষের চোখে প্রথম ধরা পড়ে ছাড়ি গঙ্গায় কিচিরমিচির করা পাখির দল। এরপর নৌকায় গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মুখে মুখে খবর ছড়িয়ে পড়ে। গত দু’সপ্তাহে বহু পর্যটক নতুন এই ঠিকানায় ভিড় জমাচ্ছেন। (তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
হাওড়া–কাটোয়া রেলপথে পূর্বস্থলী রেলস্টেশন থেকে এই নতুন গন্তব্যস্থল পায়ে হেঁটে মাত্র ১০ মিনিটের পথ। রেলস্টেশন থেকে নবপল্লীর ঘাট বা ‘ভাইরাল বাঁশের ব্রিজ ঘাট’ বললেই স্থানীয়রা সহজেই পথ দেখিয়ে দেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বাঁশের ব্রিজ দেখতে আসা কয়েকজন মানুষের চোখে প্রথম ধরা পড়ে ছাড়ি গঙ্গায় কিচিরমিচির করা পাখির দল। এরপর নৌকায় গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মুখে মুখে খবর ছড়িয়ে পড়ে। গত দু’সপ্তাহে বহু পর্যটক নতুন এই ঠিকানায় ভিড় জমাচ্ছেন। (তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
advertisement
advertisement