পার্সিয়ান ভাষায় ডক্টরেট করতে ২০১৮ সালে তিনি গিয়েছিলেন ইরানের কোম শহরের আল-মোস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। আট মাস আগে তিনি শেষবার বাড়ি এসেছিলেন। তারপর ফের ইরানে ফিরে যান। কিন্তু এবার ফেরার কথা থাকলেও বাড়ি ফিরতে পারছেন না তিনি।
advertisement
সৈয়দের দাদা গোলাম আসকারী জানান, “ওর ২০ জুনের টিকিট ছিল। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিমান পরিষেবা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। দুতাবাসের তরফে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তবে ইরানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট পরিষেবা অনিয়মিত, ফলে সরাসরি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না। দুদিন আগে শেষ কথা হয়েছে। কিন্তু এখন আবার বিচ্ছিন্ন।”
আরও পড়ুন: শিয়ালদহ থেকে এবার ‘AC’ লোকাল…! কোন রুটে ছুটবে ট্রেন? কত হচ্ছে ‘বেস ফেয়ার’? জেনে নিন রেট
তিনি আরও বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন জানাচ্ছি যেন আমাদের ভাইকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। টেলিভিশনে যেভাবে খবর দেখছি, তাতে আতঙ্কে রয়েছি।” সৈয়দের মা কান্নাজড়িত গলায় বলেন, “ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। আমার ছেলে বহুদিন ধরে দেশে ফিরতে পারছে না। আমি চাই, সরকার তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরিয়ে আনুক।”
পরিবারের এই উদ্বেগ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বসিরহাটের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমি বিষয়টি জানার পরই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে তা পৌঁছে দিয়েছি। একজন সাংসদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা সৈয়দের সমস্ত তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছি। স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।” উল্লেখ্য, ইরান ও ইজরায়েলের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বহু ভারতীয় শিক্ষার্থী ও কর্মী আটকে পড়েছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের দিক থেকে দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন এই পরিবার।
জুলফিকার মোল্যা