স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘরের মধ্যেই নিথর দেহ পড়ে ২৩ বছরের মেনকা সর্দারের। এই ঘটনা দেখে স্থানীয়রা হাড়োয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকেরা মেনকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
advertisement
মেয়েকে হারিয়ে ওই গৃহবধুর বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই কখনও মোটা অর্থ সোনা গয়না, আবার কখনও নিত্য নতুন আসবাবপত্র দাবিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালাচ্ছিল স্বামী তাপস সরদার। আর এভাবেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে দিনের পর দিন।
অতিরিক্ত পণ দিতে না পারায় অত্যাচারেই তাদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি পরিবারের। ইতিমধ্যে হাড়োয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবার। স্বামী তাপস সর্দারকে আটক করেছে পুলিশ।
মৃতবধূর বাপের বাড়ি মাটিয়া থানার ঘোড়ারাস কুলিনগ্রাম। গত পাঁচ বছর আগে মেনকার সঙ্গে তাপসের বিয়ে হয় এদের একটি সন্তান ছিল, সেই সন্তান মারা যাওয়ার পর থেকে তাপসের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। বাপের বাড়ি থেকে সোনা গয়না নগদ অর্থ আনার জন্য বধুকে মানসিক চাপ দিতে থাকে। বেশ কয়েকবার না আনার কারণে বেশ কয়েকবার মারধর করে। বধু শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িও চলে যায় কয়েকবার। আবার স্বামী বুঝিয়ে তাকে নিজের কাছে নিয়ে আসে। অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বারতে থাকে।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জানাচ্ছে, ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে মৃত্যুর আসন কারণ। ইতিমধ্যে হাড়োয়া থানার পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জুলফিকার মোল্লা