মেলা উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ উপস্থিত হন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ঠাকুরনগরে। ডংকা, কাশর, নিশান নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন এর মধ্যে দিয়ে চলে আরাধনা। ঠাকুর বাড়ির কামনা সাগরে ডুব দেন লক্ষাধিক ভক্ত। বিশ্বাস এই জলে স্নান করলেই মেলে রোগ মুক্তি থেকে নানা সমস্যার সমাধান। উৎসবকে ঘিরে সেজে ওঠে গোটা এলাকা। ঠাকুরবাড়ির মন্দির পার্শ্বস্থ মাঠেই সাত দিন ধরে চলে মেলা। হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুর সহ বিনাপানি দেবী অর্থাৎ বড় মা র মন্দিরে চলে ভক্তদের বিশেষ প্রার্থনা। মেয়েরা লাল পেরে সাদা শাড়ি, পুরুষেরা ধুতি গেঞ্জি পড়ে নৃত্যরত আনন্দমুখর ছবিতে চোখে পরে এই উৎসবে।
advertisement
মেলাকে ঘিরে থাকে এলাহি আয়োজনের পাশাপাশি বিশেষ নিরাপত্তা। মতুয়া ধর্মের বারুনি মেলাকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উৎসাহ থাকে চোখে পরার মতো। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে। রেলের তরফ থেকেও বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশেষ ট্রেন চালানোর কথাও জানানো হয়েছে এই মেলা উপলক্ষে। এমনকি ঠাকুরবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে বাংলাদেশ থেকে জলপথেও ভক্তরা আসছেন ঠাকুরবাড়িতে।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর মামলার কোটি কোটি টাকার যোগান দেয় কে? অজয় নদের তীরেই 'রহস্যের' খোঁজ পেল ইডি!
রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামী সাতদিন। আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা ঠাকুরবাড়ি চত্বর। উন্নতিথি অনুযায়ী প্রথম ঠাকুর বাড়ির সদস্যরা কামনা সাগরে ডুব দেবেন এবং তার পরই ভক্তরা স্নানের সুযোগ পাবে, এমনটাই জানানো হয়েছে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির তরফ থেকে।
রুদ্র নারায়ণ রায়