TRENDING:

Nolen Gur: নলেন গুড় প্রেমীদের জন্য খারাপ খবর! কার্তিকেও অধরা খেজুর রস, অপেক্ষা করতে হবে আর কত দিন?

Last Updated:

নলেন গুড়ের স্বাদ নিতে আর কত দিন অপেক্ষারত থাকবেন শিল্পাঞ্চলবাসী? কী বলছেন ভিন জেলা থেকে আসা শিউলিরা?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর,দীপিকা সরকার: নলেন গুড়ের স্বাদ নিতে আর কত দিন অপেক্ষারত থাকবেন শিল্পাঞ্চলবাসী? কী বলছেন ভিন জেলা থেকে আসা শিউলিরা?  কেনই বা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে  এবার? জানুন বিস্তারিত। ভিন জেলা থেকে দুর্গাপুরে আসা শিউলিদের দাবি আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কোপ পড়েছে এবার খেজুর গুড়ের ওপর। একটানা বর্ষাকালই কাল হয়েছে শিউলিদের। পাশাপাশি শীত পড়তে দেরি করায় নির্গত হচ্ছে না খেজুর রস। তাই দু’মাস ধরে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে এসে এবার বিপাকে পড়েছেন ‘শিউলি’রা।
advertisement

গাঁটের টাকা খরচ করে কোনও রকমে খাওয়াদাওয়া করে শীত পড়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, নলেন গুড়ের স্বাদ পেতে এখনও আরও অন্তত ১৫ থেকে ২০ দিন অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে। পাশাপাশি দেরি হওয়ায় খেজুর রসের উৎপাদন কমও হতে৷ তাই অগ্নিমূল্যের বাজারে এবার পাল্লা দিয়ে চড়তে পারে নলেন গুড়ের দাম।

advertisement

আরও পড়ুন: স্বামীজিকে জানা আরও সহজ, নয়া উদ্যোগ জেলায়! বর্ধমান বেড়াতে গেলে মিস করবেন না

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তে বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে খেজুর গাছের বাগান। ওই বাগানগুলির অধিকাংশরই ব্যক্তিগত মালিকানা রয়েছে৷ অল্প কিছু খাস জমিতেই রয়েছে খেজুরগাছের জঙ্গল। তবে দুর্গাপুরে খেজুর গুড় তৈরি করার মতো শিউলি নেই। তাই প্রতিবছর নদিয়া, বীরভূম ও বাঁকুড়া জেলা সহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে শতাধিক শিউলি শিল্পাঞ্চলে হাজির হন।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তাঁরা বর্ষাকাল শেষ হতেই এক একটি দল করে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় খেজুর রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করতে ডেরা বাঁধেন। প্রথমে তাঁরা খেজুর গাছগুলির পুরনো পাতা ছেঁটে, কিছুটা অংশ চেঁছে ফেলেন। এরপর বাঁশের নল ওই চাঁছা অংশে গেঁথে দেওয়া হয়।সেখান থেকে খেজুর রস গড়িয়ে জমতে থাকে গাছে বাঁধা কলসীতে।আর ওই শুকনো খেজুর পাতাগুলি দিয়ে সুন্দর একটা ঘর বানান তাঁরা। এই সমস্ত প্রথম পর্যায়ের কাজ থেকে এবার বঞ্চিত ছিলেন শিউলিরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের জন্য সুখবর! এবার বিনামূল্যে টিউশনি-পড়াশুনা বারাসাতে
আরও দেখুন

অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জন্য এবার এই প্রক্রিয়ার কাজ করতে দেরি হয়ে গিয়েছে প্রায় একমাস। আশ্বিন মাস পার হয়ে কার্তিক মাস শুরু হয়ে গিয়েছে৷ শীতের আমেজ শুরু না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিউলিরা। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেও শীতের অভাবে রস নির্গত হচ্ছেনা। তাঁদের দাবি, কার্তিক মাস থেকে গুড় তৈরি শুরু হয়ে যায়। অগ্রহায়ন, মাঘ ও ফাল্গুন মাস পর্যন্ত গুড় উৎপাদন হয়ে থাকে৷ কিন্তু এবার প্রায় একমাস পার হয়ে গেলেও গুড় তৈরি প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। তবে আর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই রস উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী শিউলিরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nolen Gur: নলেন গুড় প্রেমীদের জন্য খারাপ খবর! কার্তিকেও অধরা খেজুর রস, অপেক্ষা করতে হবে আর কত দিন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল