দাবি ছিল, শাসনের দোর্দণ্ড প্রতাপ মজিদ মাস্টারের এলাকায় ঢুকবেন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আইন অমান্য কর্মসূচির ডাকেই, হাজার হাজার কর্মী জড়ো হয়েছিলেন কাছারি ময়দানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সেই গুলি চালানোর ঘটনায় প্রাণ যায় তিনজনের। গুলিতে জখম হন অনেকেই।
আরও পড়ুনঃ সেই রংমিলান্তি পোশাকে হঠাৎ কোথায় গেলেন শোভন-বৈশাখী? সঙ্গে কে? তোলপাড় বাংলা
advertisement
সে দিনের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তরতাজা যুবক নির্মল দাস, আজ বয়সের ভারে অনেকটাই বৃদ্ধ। সেদিনের পুলিশের চালানো গুলি লেগেছিল পায়ে, পড়ে গিয়ে ভেঙে যায় চোয়াল। জ্ঞান ফিরতে দেখেন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। একাধিক অস্ত্রোপচার হয় পায়ে এবং চোয়ালে। সেই সময়, ধার-দেনা করে চিকিৎসা করতে হয়েছিল কংগ্রেস কর্মী মমতার অনুগামী নির্মল দাসকে। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন সুস্থ।
আরও পড়ুনঃ নজিরবিহীন! হুবহু এক চেহারা, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ট্রিপলেট গার্লের নজরকাড়া সাফল্য
বর্তমানে, রাজ্যে ক্ষমতায় সেদিনের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু আজও পরিবারকে নিয়ে অসম লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নির্মল দাস। এখন কোনও রকমে আহত পায়েই ভ্যান চালিয়ে ৭২ বছরের নির্মল দাস খাবার তুলে দিচ্ছেন পরিবারের মুখে। চোখের কোণে জল নিয়ে আক্ষেপ, দিন বদলে গেলেও পাননি কোনও সুযোগ-সুবিধা। কেউ রাখেনি খোঁজ। পুলিশের নির্মম গুলি চালানোর ঘটনা আজও টাটকা নির্মল দাসের স্মৃতিতে। তবে অতিক্রান্ত ২৮ বছর। এখন জীবনের শেষবেলায় এসে তিনি এ বার চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। নির্মল দাসের দুই ছেলের চাকরির আবেদন জানাতে চান মমতাকে, যদি কোনও ব্যবস্থা করে দিতে পারেন তিনি।
বিষয়টি শুনে যদিও খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, বিষয়টি জেনে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন। তবে আদেও কি বদলাবে সেদিনের মমতার আন্দোলনের সহযোদ্ধা নির্মল দাসের জীবন! কষ্ট সঙ্গী করে, ভ্যান চালিয়েও দিন বদলের স্বপ্ন দেখছে সেদিনের অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সৈনিক।
Rudra Narayan Roy