পুলিশ সূত্রে খবর এদিন বেলা বারোটা থেকে দুপুর আড়াইটার মধ্যে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে দফায় দফায় বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয় এই বজ্রপাতের কবলে পড়ে বাঁকুড়ায় আলাদা আলাদা ঘটনায় মোট ন’জন মারা গিয়েছেন। দু’মুঠো অন্ন যোগাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ধান রোপনের কাজে বহু শ্রমিক। মৃতদের সকালেই মাঠে কাজ করছিলেন।
আরও পড়ুন: যখন তখন ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে হেনস্থার দিন শেষ! ট্রাফিক পুলিশকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
advertisement
এদের মধ্যে ছিলেন ওন্দা থানা এলাকার চারজন। এছাড়াও ইন্দাস, জয়পুর, কোতুলপুর, পাত্রসায়ের ও বিষ্ণুপুর থানা এলাকায় একজন করে চাষি মারা যান মাঠে কাজ করার সময় বাজ পড়ে। এই নয় জনের একই দিনে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় জেলাজুড়ে একদিকে যেমন নেমেছে শোকের ছায়া, তেমনই প্রকাশ পেয়েছে প্রকৃতির কাছে মানুষের অসহায়তা।
বজ্রপাতে নিহতদের পরিচয়ে জানা গেছে ওন্দার নয়ন সাওয়ার বয়স ৪৮, তিলকা মাল বয়স ৪৯, জবা বাউরী বয়স ৩৮, প্রতিমা রায় বয়স ৪১। ইন্দাস থানা এলাকায় মারা গেছেন ইসমাইল মণ্ডল, বয়স ৬০। জয়পুর থানা এলাকার উত্তম বহুয়া বয়স ৩৮, কোতুলপুর থানা এলাকার জিয়ারুল হক মোল্লা বয়স ৫০, পাত্রসায়ের থানা এলাকার জীবন ঘোষ এবং বিষ্ণুপুর থানা এলাকার মদন বাগদি, বয়স ৭০ বছর মারা গেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এলাকার মানুষ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি স্থানীয় থানাতে খবর দেয় এবং সেই খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের তরফে এক সতর্কবার্তা দিয়ে চাষিভাইদের আবেদন করা হয়েছে, শুক্রবার একই রকমভাবে বজ্রবিদুৎ এর সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ওই সময় যেন কেউ মাঠে চাষের কাজ না করেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহ গুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য ওন্দা থানা এলাকার চারজনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে এবং বাকিরা বিষ্ণুপুর মহাকুমা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তাই তাদের দেহগুলি বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠান হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
অনিকেত বাউরী