Kolkata Traffic Police: জোর করে ফাইন দিতে বাধ্য করা যাবে না আর, ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে হেনস্থার দিন শেষ! ট্রাফিক পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

Last Updated:

Kolkata Traffic Police: ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে হেনস্থার দিন শেষ। ট্রাফিক পুলিশকে আইনের পাঠ দিল হাইকোর্ট।

যখন তখন ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে হেনস্থার দিন শেষ! ট্রাফিক পুলিশকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
যখন তখন ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে হেনস্থার দিন শেষ! ট্রাফিক পুলিশকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা: ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে হেনস্থার দিন শেষ। ট্রাফিক পুলিশকে আইনের পাঠ দিল হাইকোর্ট। ট্রাফিকের কাজে যুক্ত পুলিশ কর্মীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ে’র। বৃহস্পতিবার কলকাতা ডিসি ট্রাফিককে নির্দেশ হাইকোর্টের। একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে ট্রাফিক পুলিশ যাতে আইন মেনে চলতে পারে তার জন্য রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর ও ডিজিপি কাছে নির্দেশের কপি পৌঁছাতে বলল হাইকোর্ট। এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে লাইসেন্স নেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার রায় এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন
লাইসেন্স কেড়ে নিয়ে কোনও গাড়ির চালক কে জোর করে জরিমানা দিতে বাধ্য করা যাবে না।
সন্দেহের ভিত্তিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না ট্রাফিক পুলিশ।
advertisement
ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করলে লিখিত প্রমাণ বা কারণ জানাতে হবে।
ঘটনাস্থলে কোনও ব্যক্তির লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করলে অস্থায়ী অনুমোদনপত্র (acknowledgment slip) দিতে হবে ট্রাফিক পুলিশকে।
advertisement
বৃহস্পতিবার বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের রায় দেন, ট্রাফিক পুলিশ কারও ড্রাইভিং লাইসেন্স সাসপেন্ড বা বাতিল করতে পারবে না। সেই অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র লাইসেন্স কর্তৃপক্ষের।
বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে জানান, আদালতে অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্মী ভবিষ্যতে আইন মেনে কাজ করবে। গাড়ি চালকদের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করবে এবং পেশাদারিত্বের পরিচয় দেবে।
advertisement
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, মোটর ভেহিকেল আইন (১৯৮৮) অনুযায়ী সন্দেহের বশে কারও লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা যাবে না। এমনকি ট্রাফিক পুলিশ কারও লাইসেন্স সাসপেন্ড বা বাতিল করতে পারে না। ওই আইনের ধারা ২০৬(৪) অনুয়ায়ী, যদি পুলিশ অফিসার নিশ্চিত হন যে চালক আইন ভেঙেছেন, তখনই লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করতে পারেন।
advertisement
গত বছর ২৬ মার্চ গ্রাম থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী শুভ্রাংশু পান্ডা। আদালতে তাঁর বক্তব্য, খিদিরপুর রোড ও এ.জে.সি বসু রোডের সংযোগস্থলে তাঁর গাড়ি থামিয়ে দেন ট্রাফিক সার্জেন্ট পলাশ হালদার। আইনজীবীর দাবি, ওই পুলিশ অফিসার তাঁকে ১০০০ টাকা জরিমানা নগদে দিতে বলেন। তিনি এইভাবে আইনবিরুদ্ধ জরিমানা আদায়ের প্রতিবাদ করেন । এর পরেই ওই পুলিশ অফিসার তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেন। এবং কোনও অস্থায়ী স্লিপ বা রসিদও দেননি। ওই পুলিশের অফিসারের বক্তব্য ছিল, আইনজীবী ঘণ্টায় ৭৭ কিমি গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ওই জায়গার সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৬০ কিমি। ওই ঘটনায় পুলিশ অফিসারের আইন না মানার অভিযোগ তোলেন আইনজীবী। পরে অনলাইনে তাঁকে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বার্তা পাঠানো হয়।
advertisement
অভিযোগ, ওই একই দিনে আরেক আইনজীবীকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রথমে জরিমানা দিতে অস্বীকার করায় গাড়ির চাবি ওই পুলিশ অফিসার তুলে নিয়েছিলেন। পরে টাকা দিয়ে গাড়ীর চাবি ফেরত পান।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kolkata Traffic Police: জোর করে ফাইন দিতে বাধ্য করা যাবে না আর, ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে হেনস্থার দিন শেষ! ট্রাফিক পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
Next Article
advertisement
Success Story: বাবা-মা সরকারি অফিসার, মেয়ে UPSC পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন, এবার ২ কোটি টাকার পুরস্কারও পেয়েছেন
বাবা-মা সরকারি অফিসার, মেয়ে UPSC পরীক্ষায় শীর্ষস্থানে, এবার ২ কোটি টাকার পুরস্কারও পেলেন
  • বাবা-মা সরকারি অফিসার

  • মেয়ে UPSC পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন

  • এবার ২ কোটি টাকার পুরস্কারও পেয়েছেন

VIEW MORE
advertisement
advertisement