অসম্ভব, অবিশ্বাস্য বললেও ভুল হবে। কনকনে ঠান্ডা পড়েছে বাঁকুড়ায়। পুকুর থেকে নদীর জল এখন হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। এই অসম্ভব শীতে লাল বাঁধের জলে ২০২৪ টি ডুব দিলেন সদানন্দ দত্ত। প্রত্যেকেই নতুন বছরকে বিভিন্নভাবে বরণ করে থাকেন। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে, কেউ ঘুরতে গিয়ে আবার কেউ পিকনিকের মুডে ।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চ কাঁপিয়েছেন! এবার নাচ শেখাবেন বাঁকুড়ায়
advertisement
বিষ্ণুপুরের সদানন্দ দত্ত এক অভিনব ভাবে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন, যেহেতু ইংরেজি ২০২৪ সাল শুরু সেহেতু মল্ল রাজাদের ঐতিহ্যের লাল বাঁধের ঠান্ডা জলে একটানা ২০২৪ টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন তিনি। তারই অভিনব বর্ষবরণ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ।
সদানন্দ দত্ত জানান, প্রত্যেককেই কোনও না কোনও ভাবে বর্ষবরণ করে তাই সে এভাবেই নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছে। তার একটাই উদ্দেশ্য গিনেসবুক অফ ওয়ার্ল্ডে নাম তোলা। তিনি জানান দীর্ঘদিন ধরেতিনি এভাবেই বর্ষবরণ করে আসছে তবে প্রচারের আলোয় এসেছেন ২০১৬ সাল থেকে।
কনকনে শীতে লালবাঁধের জলে একটানা একের পর এক২০২৪ টি ডুব দিয়ে নতুনকে অভিনব ভাবে বরণকরে নিল সদানন্দ। আর ডুব দেওয়ার সাক্ষী রইল বিষ্ণুপুরের উৎসাহী বহু মানুষ। এই দৃশ্য দেখতেযোগ দিয়েছিল ঘুরতে আসা পর্যটকরাও। বিশ্ব রেকর্ড এখন লক্ষ্য সদানন্দের। এইভাবেই ডুব দিয়ে বিশ্বের নজরে আসতে চায়সে সেই স্বপ্ন বিষ্ণুপুরের সদানন্দের।
“কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়”। রঙ্গ বললেও ভুল হবে। সদানন্দ কীর্তি দেখে চক্ষু চড়ক গাছ সকলের। ২০২৪ টি টানা ডুব দিতে প্রয়োজন স্ট্যামিনা এবং শারীরিক ক্ষমতা। সদানন্দ প্রতিবছর এই অসম্ভব কাজ করে ফিটনেসের একটি অপূর্ব নিদর্শন রাখছেন বাঁকুড়ার সামনে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী