এবার শ্বেত পলাশ নিয়েই বিশেষ গবেষণা শুরু করেছে পুরুলিয়ার সিধু কানহু বিরশা বিশ্ববিদ্যালয়। এই শ্বেত পলাশে রয়েছে বহুবিধ গুণাবলী। অঙ্গজ জননের মাধ্যমে ও বীজ সংরক্ষণ করে তিন ধরনের পলাশের চারা গাছ তৈরি করছে বিশ্ববিদ্যালয় সহ পুরুলিয়া বনবিভাগ। এই শ্বেত পলাশের গাছের রসে উপক্ষার, গ্যালিক ও ট্যানিক অ্যাসিড থাকে। এই রসের প্রভাবে বেশকিছু দূরারোগ্য ব্যাধির নিরাময় হয়।
advertisement
পায়ের পাতার গড়ন বলে দেবে আপনি ‘কেমন’ মানুষ! কার মনে কী আছে? মিলিয়ে নিন পা দেখে
সিলিং ফ্যানের ‘গরম’ হাওয়ায় ঘেমে স্নান? মাত্র ৭০ টাকা খরচ করলেই…এসির মতো ঠান্ডা হবে ঘর!
সেই সঙ্গে বিভিন্ন ভেষজ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। নারীদের বন্ধ্যাত্ব দূর হওয়া থেকে পুরুষের যৌনবর্ধক ওষুধও তৈরি হয় এই শ্বেত পলাশ থেকে। সেই কারণেই এই গবেষণা। আর এই গবেষণায় ব্যবহার হতে পারে ‘র্যাট মডেল’।এ বিষয়ে সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার বিভাগের অধ্যাপক ড. শংকর ভট্টাচার্য বলেন , প্রাচীন কাল থেকেই শ্বেত পলাশের গুণাবলীর কথা আয়ুর্বেদে লেখা রয়েছে। বিভিন্ন জনজাতির মানুষজন তাদের চিকিৎসায় শ্বেত পলাশ ব্যবহার করে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সমন্বয় সাধনে এই গবেষণা চলছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী দিনে এর থেকে অনেকখানি সাফল্য পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার সৌরভ গড়াই ও পূর্ণিমা পরামানিক বলেন , বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যে-রকম পলাশ গাছগুলির চারা তৈরি করা হচ্ছে। তেমনই এই তিনটি পলাশের ফুল, পাতা, গাছের ছাল নিয়ে গবেষণার কাজ চলছে। এর থেকে অনেক বিরল রোগের ওষুধ তৈরির হতে পারে। বিশেষ করে বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে অগ্রণীর ভূমিকা নেবে এই শ্বেত পলাশ।
বিরল এই শ্বেত পলাশকে ঘিরে বিরাট উন্মাদনা রয়েছে সকলের মধ্যে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে একেবারেই নতুন দিশা দেখাচ্ছে এই শ্বেত পলাশ। এই গবেষণা যদি সফল হয় তাহলে আগামী দিনে বিরাট বড় সাফল্য হবে এই জেলার জন্য।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি