আরও পড়ুন: কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার ডিগ্রি রয়েছে, আপনার জন্য মোটা বেতনের চাকরির সুযোগ IIT-তে
কমে যাচ্ছে চড়ুই, বাবুই, শকুন পাখি। বন্যপ্রাণীদের থাকার জন্য বড় বড় গাছ বা ঝোপঝাড় কমে যাচ্ছে। পরিবেশ উপযোগী গাছের বদলে অন্য গাছের দিকে ঝুঁকছে মানুষজন। কমে যাচ্ছে মৌমাছি, বোলতা ও ভ্রমরা। আবার ধানের খেতে এত বেশি কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের প্রয়োগ হচ্ছে সেজন্য বিলুপ্তির পথে চ্যাং, শোল, পুঁটি মাছ। বর্ষার সময় এই দেশীয় মাছ পুকুর, ডোবা দিঘী থেকে বেরিয়ে ধানের খেতে ডিম পাড়ত। বাচ্চা প্রতিপালন করত। কিন্তু সেসব কিছুই যেন কমছে ধীরে ধীরে। একথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ জীব বৈচিত্র্য পর্ষদের গবেষকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: GI ট্যাগ পেয়ে কোন কোন বাংলার ‘রত্ন’ বিশ্বজয় করেছে? আজই হোক আপনার knowledge test
হারিয়ে যাওয়া জীবকুলকে সংরক্ষণ করার উদ্যোগী হচ্ছে বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও পশ্চিমবঙ্গ জীব বৈচিত্র্য পর্ষদ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এই পাইলট কর্মসূচি শুরু হয়েছে ভারতের মোট ছ’টি রাজ্যে । আমাদের রাজ্যের জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামে শুরু হয়েছে তিনদিনের এই কর্মসূচি। সেখানে ঝাড়গ্রাম ছাড়াও আরও পাঁচটি জেলার জীব বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা কমিটির (বিএমসি) সদস্যদের নিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এনভায়রমেন্ট ইনফরমেশন, অ্যাওয়ারনেশ, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অ্যান্ড লাইভলিহুড প্রোগাম বিভাগের উদ্যোগে ও রাজ্য জীব বৈচিত্র্য পর্ষদের সহায়তায় শুক্রবার ঝাড়গ্রামের গড় শালবনি এলাকায় শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি।
ঝাড়গ্রাম ছাড়াও বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের পশ্চিমবঙ্গ জীব বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে দিনভর আলোচনা করেন গবেষক ও বৈজ্ঞানিকরা। জীব বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা লুপ্তপ্রায় জিনিস সংরক্ষণ করার পাশাপাশি কিভাবে আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধি হাতে পারেন তার পথ বাতলে দেন গবেষক। গবেষকরা জানান, দেশীয় গাছ আম, জাম , কাঁঠাল, কামরাঙা, আতা, পেয়ারা, লিচু এসব ফলের পাশাপাশি দেশি গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস ও মুরগি প্রতিপালন করলে সংরক্ষনের পাশাপাশি আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বুদ্ধদেব বেরা