তখন গ্রামীণ মেলা মানে তার কয়েক মাস আগে থেকে শিল্পীর বাড়িতে দারুণ ব্যস্ততা সেপাই তৈরিতে। এখন আর সেই ব্যস্ততা নেই। তবে প্রতিবছর রথ এবং রাম বিজয়ার কিছুদিন আগে থেকে তালপাতার সিপাই তৈরির ব্যস্ততা দেখা যায়। হাওড়ার সেপাই শিল্পী বুদ্ধদেব রায় ও তাঁর ছেলে গোপীনাথ রায় রথের আগে কয়েকশো তালপাতার সেপাই তৈরি করেছেন। নিজেরা তৈরি নিজেরাই বিক্রি করেন মেলায়। যদিও সামান্য কিছু পাইকারি আসে সেপাই এর খোঁজে। তবে সেই সংখ্যা খুবই কম।
advertisement
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিই কাল! তিল, বাদাম সব নষ্ট! হাজার হাজার টাকা নষ্ট হলেও চিন্তা নেই এইসব চাষিদের
অন্যান্য বছরের মত রথের কিছুদিন আগে তালপাতা সংগ্রহ এবং কাঠি তৈরি করে তারপর তালপাতা কেটে সেপাই তৈরি’র কাজ শুরু হয়েছে। অন্যান্য খেলনার ভিড়ে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে তাল পাতার সেপাই। তাই আগের মত তালপাতার সেপাই এর চাহিদা নেই। বাজার অনুযায়ী দাম কম তবুও বিক্রি নেই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বুদ্ধদেব বাবু এ প্রসঙ্গে জানান, “সেই কোন শৈশব থেকে বাবার কাছে সেপাই তৈরি শেখা। সেপাই তৈরি করতে করতে শৈশব যুবক বয়স কাটিয়ে বৃদ্ধের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে বয়স। এই কাজের প্রতি হৃদয়ের সম্পর্ক। তাই আঁকড়ে ধরে রয়েছি। ছেলে গোপীনাথকে হাতে ধরে শিখিয়েছি। আমি পাখা তৈরি বেশির ভাগ সময়, আর কয়েক বছর হল ছেলেই এখন পুরো দমে তালপাতার সেপাই তৈরি করছে। সেপাই তৈরিতে কিছুটা সহযোগিতা করি।”
এ প্রসঙ্গে গোপীনাথ রায় জানান, “মহিয়াড়ি রথ এবং রামরাজাতলার মেলার আগে সেপাই তৈরি হয়। বছরে মোট দু’বার তালপাতার সেপাই এর চাহিদা থাকে। তবে এখন পুজো মণ্ডপ বা অন্য ডেকোরেশনের জন্য তালপাতার সেপাই খোঁজ করেন অনেকে। আবার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পুরনো জিনিসের চাহিদা বাড়ছে। আমরাও আশা করছি এই তালপাতার সেপাই এর চাহিদাও বাড়বে।”
রাকেশ মাইতি