আরও পড়ুন: ফাল্গুন সংক্রান্তিতে ঘেঁটু’র পালকি নিয়ে দোরে দোরে ঘোরে কচিকাঁচারা…
বিকল্প খাদ্য হিসাবে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করছে পশুর গ্যামা ঘাস থেকে তৈরি এই খই। তেমনই এই নতুন উপায়ে খই তৈরির বিষয়ট হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও তৈরি করেছে। সবুজ পশু খাদ্য হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় গ্যামা ঘাস। গ্রাম বাংলার ক্ষেত্রে অনেকেই এই গাছের সঙ্গে বিশেষ পরিচিত। মূলত নিচু কিংবা নোনা স্যাঁতসেতে পরিত্যাক্ত জমিতে এই ঘাস চাষ হয়ে থাকে। তবে তা থেকে অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খই তৈরি হয় তা হয়ত অনেকেরই অজানা। নদিয়ার শিবনিবাস এলাকায় বিভিন্ন মেলায় দেখা যায় এই ঘাস থেকে তৈরি খই।
advertisement
ধান থেকে প্রস্তুত করা খই সর্বাধিক ব্যবহৃত হলেও গ্যামা ঘাস থেকে প্রস্তুত করা এই খই বিকল্প রুজি-রুটির পথ দেখাচ্ছে বেকারদের। গ্যামা গাছের ফল থেকে হয় ফুটফুটে সাদা খৈ। প্রস্তুতকারকরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে চাষ হওয়া এই ঘাস কাঁচা অবস্থায় গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ডের মত রাজ্যে ফল হিসাবে উৎপাদন করার জন্য রেখে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই আনা ফল প্রথমে আগুনের উত্তাপে ভাপিয়ে নেওয়ার পর লোহার কড়াইয়ে সাদা মিহি বালিতে ভাজা হয়। তবে ভুট্টার খই উৎপাদনের ক্ষেত্রে জ্বালানি হিসেবে গ্যাস বা ইলেকট্রিক ওভেন ব্যবহৃত হলেও এক্ষেত্রে নাকি শুধুমাত্র কাঠের জালে উৎকৃষ্ট মানের খই প্রস্তুত করা হয়। কোনরকম কেমিক্যাল দেওয়া হয় না। রোগী থেকে শুরু করে বাচ্চা কিংবা গর্ভবতী মায়েরা সকলের জন্য অত্যন্ত উপদেয় এই খই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পশুদের খাদ্য গ্যামা ঘাসের ফল থেকে প্রস্তুত করা কই বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা প্রতি ১০০ গ্রাম হিসেবে। ২০০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ২০ টাকা। অনেকেই এই খই বাড়ি নিয়ে খান। তাই বিক্রিও যথেষ্ট হয়। বাংলার বহু বেকার যুবক এই খই তৈরির মাধ্যমে ক্রমশ স্বনির্ভর হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন।
মৈনাক দেবনাথ