শুধু নিজের জন্য নয়, রাজবন্দিদের জন্য বই কেনা-সহ নানান দাবিতে তিনি বন্দিদশায় আন্দোলনও করেছিলেন বলে জানা যায়। সেখানেই শুরু করেছিলেন টেনিস খেলা, সরস্বতী পুজো-সহ নানা কর্মকাণ্ড। প্রথম সংশোধনাগারের মধ্যেই তিনি সরস্বতী পুজো করেছিলেন। বর্তমানে সংশোধনাগার জীর্ণদশা রয়েছে। বর্তমানে এই সংশোধনাগার মানসিক হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই তৎকালীন সময়ের সংশোধনাগার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান নিয়ে আজও বেঁচে আছে।
advertisement
জানা যায়, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে জেলায় বিভিন্ন সময়ে কখনও বহরমপুর, কখনও বেলডাঙা, কখনও কান্দিতে, জেমোতে, কখনও জিয়াগঞ্জে কখনও বা জঙ্গিপুরে এসেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু।
এছাড়াও দেশবরেণ্য, আপোষহীন স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন দর্শন, লড়াই, সংগ্রামের অনেক উপকরণই রয়েছে মুর্শিদাবাদে। ১৯১৩ সালের মে মাসে একদল ঐতিহাসিকদের সঙ্গে ইতিহাসের শহর নবাবের মুর্শিদাবাদে প্রথম এসেছিলেন।
বহরমপুর থেকে হেঁটে লালবাগ গিয়েছিলেন। ছিলেন লালবাগের সাবিরুদ্দিন আহমেদের বাসায়। সেখানে গিয়ে তিনি ঘি দিয়ে আলু সেদ্ধ ভাত খান বলেও জানা যায়। তৎকালীন সময়ে বহরমপুরে খাগড়া এলাকায় কংগ্রেস অফিস থাকাকালীন তিনি এসেছিলেন। বর্তমানে সেখানেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মুর্তি তৈরি করা আছে। তবে মুর্শিদাবাদ জেলাতে স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে অনেক অবদান আছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর। যা আজও মনে রেখেছে অনেকেই।
কৌশিক অধিকারী