গ্রামের একটি আইসিএসসি স্কুল থেকে মাধ্যমিকে ৯৮.২ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। দূর্গাপুরের সিবিএসসি একটি বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ। তারপর ছেলের উচ্চ পড়াশুনার জন্য বাবা জমি বিক্রি করে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় কোচিংয়ে ভর্তি করে। নিজের অদম্য জেদ ও বাবা মায়ের বিশ্বাস আজ অনিকের এই সাফল্য।
advertisement
এই খবর পেয়ে সাগরদিঘির কৃতি অনিক ঘোষের পাশে দাঁড়ালেন সাগরদিঘীর বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের পক্ষ থেকে অনিক ঘোষকে সংবর্ধিত করা হয়। ফুলের তোড়া, মিষ্টি মুখ করানোর পাশাপাশি তাকে একটি ল্যাপটপ প্রদান করেন বিধায়ক।
সাগরদিঘীর বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস জানান, ‘‘চাষি ঘরের ছেলে অনিক ঘোষ। সাগরদিঘির নাম উজ্জ্বল করেছে। NEET-এ দেশে ৬৭ তম স্থান অধিকার করেছে। রাজ্যে সম্ভাব্য তৃতীয়। খবর পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করলাম। একটি ল্যাপটপ দিলাম। তার উজ্জল ভবিষ্যতের কামনা করি। সবরকম ভাবে তার পাশে থাকব।’’
অনিক ঘোষের এই সাফল্য আগামী প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রেরণা জোগাবে। আমি একজন বিধায়ক হিসাবে নয় নিজের দাদা হিসাবে তার পাশে থাকাবো। সাগরদিঘি গ্রামের দারিদ্র্য পরিবারের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করার জন্য সমস্যায় পড়লে সব সময় তাদের পাশে দাঁড়াব।
স্থানীয় বাসিন্দা, সাগরদিঘি তৃনমুল এহেন কাজের ভুওষী প্রসংসা করেছেন। কৃতী ছাত্রদের পাশে থাকার বার্তা গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহী যোগাবে। অনিক ঘোষ জানান, বাবা নিজের জমি চাষবাস করে সংসার চালান, মা গৃহবধূ। তার পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে বাবা একসময় জমির বিক্রি করতে পিছপা হননি।
বাবার বিশ্বাস ছেলে একদিন গ্রামের মুখ উজ্জল করবে। দাদু বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন, ছেলে ডাক্তার হয়ে গ্রামের গরীব মানুষের চিকিৎসা করবে। বাবা মায়ের তার উপর বিশ্বাস তার এই সাফল্য। আগমীদিন ডাক্তার হয়ে গ্রামের গরীব মানুষের চিকিৎসা করবে।
কৌশিক অধিকারী