তবে শান্তিপুরে এখনও এমন একজন মানুষ আছেন, যিনি বাঙালির সেই পুরনো স্বাদের ধারা ধরে রেখেছেন। শহরের সবুজসংঘ ক্লাবের সামনে প্রতিদিনই ভ্যানে করে বিক্রি হয় নারকোল নাড়ু, তিলের নাড়ু, চিড়ে-মুড়ির মোয়া, বাদাম পাটালি-সহ নানা রকমের লোভনীয় উপাদান। সবকিছুই মাত্র পাঁচ টাকা দরে। ফলে ৭০ থেকে ১০০ টাকায় তৈরি হয়ে যায় দুর্দান্ত একটি বড়সড় মিষ্টি মুখের প্যাকেট, যা একদিকে যেমন সাশ্রয়ী, অন্যদিকে অতিথি আপ্যায়নে হয়ে ওঠে অনন্য।
advertisement
এই উদ্যোগের নেপথ্যে আছেন এক নম্বর কলোনী আলুর মাঠ নিবাসী ৭৫ বছরের মন্টু বিশ্বাস। জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছেও তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে সৎ ও পরিশ্রমী জীবন অতিবাহিত করছেন। বাঙালির আবেগকে ধরে রেখে তাঁর এই ছোট্ট ব্যবসা আজ স্থানীয় মানুষের গর্বের বিষয়। অনেকেই মনে করছেন, ভবিষ্যতে হয়তো কোনও বহুজাতিক অনলাইন সংস্থা এই ধারণাকে আধুনিক মোড়কে উপস্থাপিত করবে। তখন সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ড হলেও, সেই প্রথম স্বাদ আর আবেগের ভাগীদার হবেন না মন্টু কাকা।
তবু আজও তিনি মনে করিয়ে দেন সাবেকি আতিথেয়তা ও মিষ্টি মুখের আনন্দ কেবল খাওয়ায় নয়, তা নিহিত থাকে সম্পর্ক ও আবেগে। আর সেই আবেগেই শান্তিপুরের মন্টু কাকা হয়ে উঠেছেন বিজয়ার আসল প্রতীক।