ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছিল এই অনুষ্ঠানে। তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার নাটুয়া শিল্পীরাও নিজেদের বীরত্বের নাটুয়া নৃত্য প্রদর্শন করেন। দুর্গোৎসবের সময় ওস্তাদ জগন্নাথ কালিন্দী, নিপেন কালিন্দী, শিকার মাহাত এবং বৈদ্যনাথ মাহাত পাড়ি দেন জাপানের উদ্দেশে। জাপানের ওয়াল্ড এক্সপোর্ট অনুষ্ঠানে নিজেদের নৃত্যকলা প্রদর্শন করে বিদেশি দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তাঁরা। জঙ্গলমহলের লোকসংস্কৃতির অন্যতম অংশ নাটুয়া নৃত্য বিদেশের মাটিতে প্রদর্শন করে ফেরার পর তাদের নিয়ে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠলেন গ্রামবাসীরা।
advertisement
এ বিষয়ে শিল্পী জগন্নাথ কালিন্দী জানান, সরকারিভাবেই প্রথমবার বিদেশের মাটিতে নাটুয়া নৃত্য প্রদর্শন করেছেন তাঁরা। বিভিন্ন দেশ থেকে শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছিল। প্রায় চার হাজার জন শিল্পী সেখানে ছিল। তাদের মধ্যে ভারত থেকে ২৫জন শিল্পী ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে চারজন শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রথমবার বিদেশের মাটিতে পশ্চিমবঙ্গের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে নাটুয়া নৃত্য প্রদর্শন করেছেন তাঁরা। এতে তাঁরা খুবই গর্বিত। কারণ বিদেশের মানুষ ছৌ নাচ সম্পর্কে অবগত থাকলেও নাটুয়া নৃত্য সম্পর্কে তাদের কোনও ধারণা ছিল না। এই প্রথম বিদেশিরা নাটুয়া নাচ দেখলেন। এটা তাদের কাছে খুবই ভাল লাগার।
আরও পড়ুন:তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর, ‘ রাজ্যে না পেরে ত্রিপুরায় হিংসা’, তোপ অভিষেকের
পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী এই নাটুয়া নাচ বিদেশের মাটিতে প্রদর্শন করতে পেরে নিজেদের গর্বিত বলে মনে করছেন বলরামপুরের পাড়দ্দা গ্রামের নাটুয়া নৃত্য শিল্পীরা। আগামী দিনে ছৌ-নৃত্যের পাশাপাশি নাটুয়া নৃত্য ভারতের লোকসংস্কৃতির অন্যতম অংশ হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।