ওই ভিডিও শেয়ার করে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য লেখেন, ‘নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় তৃণমূল করার অপরাধে, এক মহিলাকে এভাবেই গাছে বেঁধে অত্যাচার চালাল বিজেপি। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এলাকায় সামান্য দুই একটা পঞ্চায়েত জিতে যারা এই স্তরে সন্ত্রাস চালাতে পারে, বাংলার অন্যান্য প্রান্তে শক্তিবৃদ্ধি হলে তাদের বাংলাকে মনিপুর বানাতে যে বেশি সময় লাগবে না, তা বারংবার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
advertisement
আরও পড়ুন: বড় খবর! কারা ফিরবেন তৃণমূলে? অভিষেকের নির্দেশ মনে করিয়ে স্পষ্ট করলেন কুণাল
প্রসঙ্গত, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে বুধবার তপ্ত হয়েছিল নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ভেকুটিয়া অঞ্চল। শাসকদলের অভিযোগ ছিল, বিজেপি হামলা চালিয়েছে তাদের লোকজনের উপর। বৃহস্পতিবার জখম ১১ জনকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: কবে থেকে শুরু স্নাতকোত্তরে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি? বিজ্ঞপ্তি জারি করল উচ্চশিক্ষা দফতর
বিজেপি যদিও হামলার কথা অস্বীকার করেছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর লড়াইয়েই বুধবার ভেকুটিয়ায় ওই ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। তাদের আরও বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমের সামনে গল্প সাজাতেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে তাঁদের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয় জখম তৃণমূল কর্মীদের। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা নন্দীগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কুণাল ঘোষ।
নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। অধিকাংশ গ্রাম প়়ঞ্চায়েত, প়়ঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনেও পদ্ম ফুটেছে। অন্য দিকে, নন্দীগ্রাম-১ ব্লক আবার তৃণমূলের দখলে রয়েছে।