শুক্রবার মৎস্যজীবীদের ট্রলারটি জলের তোড়ে উল্টে গিয়ে নদীতে ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২ জনের। ৪ জনকে উদ্ধার করা গেলেও সাতজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে দুভাবে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন- 'মেয়েকে ফেরাতে পারব না', রিমার মাকে ফোন মমতার! দিলেন জোড়া আশ্বাস
আকাশ পথে এবং জলের মধ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং পুলিশ। আজ তল্লাশি চালিয়ে হিজলির কাছে নদীর ধার থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ট্রলারের চালককে উদ্ধার করা হয়েছে।
advertisement
উল্লেখ্য, গতকাল মাছ শিকারের আগেই ডুবে যায় ট্রলারটি। শুক্রবার সকালে নন্দীগ্রাম থেকে ট্রলারটি পেটুয়া মৎস্যবন্দর যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
পেটুয়াঘাটে ঢোকার কয়েক মাইল আগে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে মোট ১৩ জন মৎস্যজীবি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন কোনওরকমে সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। আরও দুজনকে উদ্ধার হয়েছে। দু'জনকেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বাকি ৭ জন মৎস্যজীবি নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজেই তল্লাশি চালিয়ে আজ একজনের খোঁজ পাওয়া গেছে।
জানা গিয়েছে, আলামিন নামে একটি ট্রলার নন্দীগ্রাম থেকে মাছ ধরার জন্য পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। পেটুয়াঘাটে ঢোকার মুখেই ট্রলারটি ডুবে যায় বলে উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবিরা জানিয়েছেন।
শেখ ইকবাল নামে ওই ট্লারের চালক দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তিনি ৩০ ঘণ্টা ধরে বাঁচার লড়াই চালিয়েছেন। উল্টে যাওয়া ট্রলারের ভিতর যেটুকু অক্সিজেন ছিল তাতেই তিনি বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ১০৩ জন ছাত্রীর মধ্যে মাত্র ১৫ জন পাশ! রানীগঞ্জের স্কুলে 'ভূতুড়ে কাণ্ড'!
এর পর ট্রলার সোজা হতেই তিনি কোওরকমে সেটি থেকে বেরিয়ে বলে ভর করে ভাসতে থাকেন। পরে তাঁকে অন্য মত্সজীবীরা উদ্ধার করেন। ওই চালককে তমলুক হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার নিখোঁজ মত্সজীবীদের মধ্যে আরও একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।