নন্দীগ্রামের দুই বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা জয়দেব দাস এবং বটকৃষ্ণ দাসের বাড়িতে যান নন্দীগ্রামের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। বিষয়টিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দুপক্ষের তরফে দাবি করা হলেও রাজনৈতিক মহলের দাবি, খুব শীঘ্রই এই দুই বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী? জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ
advertisement
এদিকে নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে যখন চর্চা চলছে, তখনই পাঁশকুঁড়ার চার বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের কনভেনার সিন্টু সেনাপতি সহ চারজনকে বহিষ্কার করেছে রাজ্য বিজেপি।
আরও পড়ুন: সাইক্লোন মোকাবিলায় সতর্ক নবান্ন, কালীপুজোতেও চলবে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি! তৎপর খোদ মুখ্যমন্ত্রী
দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দল বিরোধী কাজ লিপ্ত থাকার জন্য পাঁশকুড়ার চারজন বিজেপি নেতাকে বহিষ্কার করেছে। জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে পাঁশকুড়া দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তমলুক সংগঠনিক জেলার বিজেপির জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিজেপি কার্যকর্তারা। অভিযোগ, সিন্টু সেনাপতি ও রাজ্য যুব মোর্চার সদস্য প্রতীক পাখিরা সহ কয়েকজন বিজেপি নেতারা জেলা সভাপতি সহ বিজেপি নেতৃত্বকে মারধর করেন। এমন অভিযোগের পর অভিযুক্তদের শোকজ করে রাজ্য বিজেপি। শোকজের পর এবার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
পাঁশকুড়া বিজেপি নেতা, ২০২১ সালে বিজেপি পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সিন্টু সেনাপতি, প্রাক্তন জেলা যুব মোর্চার সভাপতি রাজ্য বিজেপি নেতা ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক প্রতীক পাখিরা, প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি তথা জেলা বিজেপি কমিটির সদস্য উত্তম সেনা ও বিজেপি নেতা কৌশিক জানাকে দল থেকে বরিষ্কার করেছে বিজেপি। যা নিয়ে টিপ্পনী কাটছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।