মন্দির এলেই আপনি একসঙ্গে দর্শন করতে পারবেন ৫১ টি সতীপীঠের প্রতীকী চিত্র।এ ছাড়াও মন্দিরে পাশে রয়েছে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা। আর এই মন্দির থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত রয়েছে তারাপীঠ মন্দির। আপনি চাইলে ট্রেন অথবা নিজের গাড়িতে এসে প্রথমে তারাপীঠ এবং তার পর সেখান থেকে নলহাটি মন্দির দর্শন করতে আসতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বুদ্ধপূর্ণিমায় সত্যনারায়ণপুজো করবেন? জানুন সঠিক মুহূর্ত! এই সময়ে পুজো করলে সেরা ফল পাবেন
ওই পীঠে যে দেবী কালিকার অবস্থান তাঁকে নলাটেশ্বরী বলা হয়ে থাকে। একটা সামান্য উঁচু টিলার উপরে অবস্থিত এই মন্দিরের প্রবেশপথের মাথায় রয়েছে গণেশের মূর্তি এবং দু’ধারে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর মূর্তি। পৌরাণিক ব্যাখ্যা অনুসারে, প্রত্যেক শক্তিপীঠেই একজন করে পীঠরক্ষক ভৈরবকে থাকতে হয়। বীরভূমের এই পীঠেও তার ব্যতিক্রম নয়। নলাটেশ্বরী মন্দিরের পীঠরক্ষক হিসেবে রয়েছে যোগেশ ভৈরবের মন্দির।
তেমন কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ না থাকলেও কিংবদন্তি অনুসারে বলা হয়, ৮৪৪ বঙ্গাব্দ নাগাদ এই জায়গাটা পীঠ হিসেবে আবিষ্কৃত হয়। তখন একটা ছোট মন্দির ছিল। অষ্টাদশ শতকে নাটেরের জমিদার রানী ভবানী টিলার গায়ে এই মন্দির নির্মাণ করিয়ে দেন। বীরভূমের আরও কয়েকটা পীঠের মতই নলাটেশ্বরী মন্দির দর্শন করতে সারা বছরই বহু ভক্তের সমাগম হয়।বিশেষ করে কালীপুজোর সময় মহাসমারোহে পুজো হয়ে থাকে।