এই কঠিন সাধনায় রনিতের সঙ্গে কেউ নেই—তিনি একাই পাড়ি দিয়েছেন এই দীর্ঘ পথে। তার সঙ্গে নেই বড় কোনও ব্যাগ বা সরঞ্জামও। কেবল একটি মোবাইল ফোন রয়েছে তার সঙ্গে। আর হাজার হাজার লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষের শুভকামনা আর ভগবানের আশীর্বাদ। শুধুমাত্র এইটুকু বিষয়কেই পাথেয় করে কঠোর মনের জোর এবং বিশ্বাস নিয়েই এগিয়ে চলেছে সে। কোথাও থাকার বা খাওয়ার কোনও স্থির ব্যবস্থা নেই, পথেই যদি কেউ সাহায্য করে, তবেই চলবে তার যাত্রা। “সব ভরসা ভগবানের উপরে,” জানিয়েছেন রনিত। তিনি আরও বলেন, “কারও প্রভাবে নয় বা মানসিক চাপে নয়, ভগবানের প্রতি ভালবাসা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
advertisement
আরও পড়ুন: হাত দিয়ে হাঁটা, পা দিয়ে চশমা পরা, কী অদ্ভুত পারদর্শিতা! না দেখলে বিশ্বাস হবে না
এর আগে নদিয়ার রনিত কাজ করতেন মহারাষ্ট্রের নাসিকের একটি হোটেলে রাঁধুনি হিসেবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন মা ও ভাই। বাবা প্রয়াত হয়েছেন কয়েক বছর আগে। শুরুতে পরিবারের কেউই রনিতের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও ভগবানের প্রতি গভীর টান দেখে শেষ পর্যন্ত মায়ের চোখের জলে আশীর্বাদ নিয়ে পাড়ি দেন রনিত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আনুমানিক দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে এই যাত্রা সম্পূর্ণ করতে। পথে পথে বিভিন্ন মন্দিরে রাত্রিবাস করার ইচ্ছে রয়েছে তার। ধর্মপ্রাণ মানুষদের মতে, আজকের যুগে এমন কঠোর ব্রত গ্রহণ এক বিরল দৃষ্টান্ত। শান্তিপুরের আদিবাসী ঘরের ছেলে রনিত রায় তাই আজ স্থানীয়দের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক—ভক্তি, সাহস ও আস্থার এক জ্বলন্ত উদাহরণ।