অভিযোগ, হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক প্রথমেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর দীর্ঘক্ষণ ইমার্জেন্সির বাইরে তাঁকে ফেলে রাখা হয়। পরিবারের দাবি, ওই সময়েই শ্বাস নিতে শুরু করেন মৃত ঘোষণা করা রোগী। বিষয়টি পরিবারের নজরে আসতেই তড়িঘড়ি চিকিৎসককে ডাকা হলে পুনরায় পরীক্ষা করে তাঁকে ICU-তে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে পরিবারের অভিযোগ, ICU-তে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
advertisement
পরে পরিবারের অনুরোধে ভর্তি করা হলেও কিছুক্ষণ পর আবারও চিকিৎসক ইসমাইল সেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ, জীবিত থাকা সত্ত্বেও প্রথমেই মৃত ঘোষণা করে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখার গাফিলতির কারণেই ইসমাইল সেখের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে তেহট্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দুই পড়শি পরিবারের অশান্তির মাশুল! বাসন্তীতে বোমা ফেটে গুরুতর জখম শিশু, আনা হল এসএসকেএম
তবে এ বিষয়ে হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগী প্রথমেই মারা গিয়েছিল। বাড়ির লোকজন যখন কান্নাকাটি করছিল হয়তো কোন কারনে পেটে চাপ পরে ভিতর থেকে বায়ু বাইরে বেরিয়ে আসে। সেই দেখেই পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়, রোগী বেঁচে আছেন। ডাক্তার এসে আবার পরীক্ষা করার সময় উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়। হাসপাতালের এমার্জেন্সির সামনে যাতে কোনও উত্তেজনা অশান্তি না সৃষ্টি হয় সেই কারণেই পরিস্থিতির চাপে ডাক্তার আইসিইউতে পাঠায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এখানেই উঠছে প্রশ্ন, মৃত ব্যক্তিকে পুনরায় চিকিৎসক কী কারণে পাঠালেন আইসিইউতে? পরিস্থিতির চাপে নাকি অজ্ঞতাবশত!






