ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভার জলের ট্যাঙ্কি মোড়ের কাছে সূত্রাগর এম এন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এ বিষয়ে অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, পড়াশোনা এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা প্রশংসনীয় হলেও একই জায়গাতে তিন তিনটে ক্লাস। বাচ্চারা সেখানে ক্লাস করছে। পাশেই রান্না হচ্ছে। এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি। যদি এই বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন এবং কোন ব্যবস্থা করেন তাহলে খুবই উপকার হবে এবং পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রেও অনেক উপকার হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃডাকাতির ছক কষে ঘন জঙ্গলে ঘাপটি মেরেছিল! পুলিশ খবর পেতেই… নদিয়ায় কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের ঠেক
বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানাচ্ছেন, মোট ৩৭ জন পড়ুয়া রয়েছে বিদ্যালয়ে। তার মধ্যে পাঁচটি ক্লাস। একটি হলঘরে তিনটি ক্লাস এবং বাকি দুটি বারান্দায় হয়। শিক্ষক শিক্ষিকাদের বসার জন্য কোনও আলাদা ঘর নেই। সেক্ষেত্রে একই ঘরে পড়াশোনা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বসে থাকা, সমস্ত ক্ষেত্রেই অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ স্বল্প দামে মুদির বাজার! কৃষ্ণনগরে নতুন সাবসিডিয়ারি ক্যান্টিন চালু হতেই খুশির জোয়ার
বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এর আগে দু’বার লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। নতুন করে আবারও লিখিত অভিযোগ জানানো হয় অর্থাৎ তিনবার লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও কোনরকম সুরাহা হয়নি অসুবিধার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শক গৌতম পাল জানান, এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছে আবেদন করেছিলেন কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনরকম ভাবেই সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। আবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জবাবে তাঁরা জানিয়েছে, বিদ্যালয়ে আবারও যেন লিখিতভাবে এই অসুবিধার কথা তুলে ধরেন তাহলে তাঁরা বিবেচনা করে দেখবেন।
তবে এখন প্রশ্ন, আগে একাধিকবার জানানোর পরেও কেন টনক নড়ল না শিক্ষাবিভাগের। নাকি ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন এবং তাদের জীবন নিয়ে দোলাচলেই কাটাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং সরকারী আধিকারিকরা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উঠছে বড়সড় প্রশ্ন।