বর্তমানে তার দুটি কিডনির অবস্থাই খারাপ। বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাঙ্গালোরে চিকিৎসা চালছিল। কিন্তু পরে অর্থসঙ্গতি না থাকায়বাড়ি ফিরে আসতে হয়। এরপর কলকাতার পিজি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা করাচ্ছেন। ব্যাঙ্গালোরে চিকিৎসা করার সময় চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, ওষুধ এবং ইনজেকশনের দ্বারাই ঠিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আজ থেকে মাস চারেক আগে তিনি যখন চিকিৎসা করাতে যান, তখন চিকিৎসকেরা তার ছেলেকে জবাব দিয়ে দেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বাইকে যেন ‘রকেটের গতি’! নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীকে ধাক্কা, চরম পরিণতি! রেগে আগুন ধরিয়ে দিল স্থানীয়রা
বলা হয়, ওষুধে আর কাজ হবে না। কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট অর্থাৎ প্রতিস্থাপন করতে হবে। তবে এই কিডনি প্রতিস্থাপন করতে লাগবে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। বাবু স্বর্ণকার মায়াপুর একটি হোটেলের সামান্য কর্মচারী। ফলে তার পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এর আগে ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর জমানো অর্থ সমস্তটাই শেষ। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ছেলে ছাড়াও পরিবারে রয়েছে আট বছরের মেয়ে, এবং স্ত্রী। রান্নার সরঞ্জাম থেকে ঠাকুর ঘরের সিংহাসন সবই একটি টিনের ঘরের মধ্যেই। তার ছেলে অসুস্থতার মধ্যে দিয়েও মাধ্যমিক পাস করেছে কোনওরকম ভাবে। তবে পড়াশোনার ইচ্ছে রয়েছে তার এখনও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আজও সময় করে বইয়ের পাতায় চোখ বোলায় সে। ইচ্ছে রয়েছে সুস্থ হয়ে অনেকদূর পর্যন্ত পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের এই আর্থিক অনটন দূর করার। পাড়া-প্রতিবেশীরাও সকলেই তাদের পাশে রয়েছেন, সকলেরই অনুরোধ সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক সময়তেই দেখতে পাওয়া যায় দুরারোগ্য ব্যাধি সারিয়ে তোলার জন্য যে বিপুল পরিমাণে অর্থ খরচ হয়, তা অনেক সময় ক্রাউড ফান্ডিং এর মাধ্যমে উঠে আসে। তাঁরাও চাইছেন পাড়ার এই ছোট্ট ছেলেটির একইভাবে যেন সুস্থ হয়ে আবার পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারে।





