পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাঁসখালি থানা পেরিয়ে ভাজনঘাট ব্রিজের উপর উঠতেই সন্দেহভাজন মাছের গাড়িকে আটকায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। আর মাছের গাড়ি আটকাতেই গাড়ির ড্রাইভার লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। ড্রাইভার লাফ দিয়ে পালাতেই পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর পুলিশ মাছের বাক্স গুলো সরাতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। গাড়িতে মাছের বাক্সের ভিতরে প্লাস্টিকের প্যাকেটে গাঁজা থরে থরে সাজানো। বাংলাদেশে পাচারের পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিল পুলিশ।
advertisement
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভাজনঘাট ব্রিজের কাছে একটি মাছের গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ৪২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তার আগেই পুলিশ গাড়িটিকে তল্লাশি চালায়। আর তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। কারণ মাছের গাড়িতে থরে থরে সাজানো ছিল প্লাস্টিকে মোড়ানো গাঁজার প্যাকেট। পুলিশ গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। যদিও গাড়ির চালক পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যেখানে এই গাঁজা উদ্ধার হয়েছে তার থেকে সীমান্ত মাত্র এক কিলোমিটার দূরে আর মাজদিয়ার যেখানে বাঙ্কার উদ্ধার হয়েছিল তার থেকে দু কিলোমিটার দূরে। তাহলে আবার প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে, তাহলে কি সেই বাংকারের মধ্যেই মজুত করার জন্য এত পরিমাণ গাঁজা আনা হচ্ছিল । বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হতেই জেলা পুলিশের আধিকারিক পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে । বলা যেতেই পারে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের বড় সাফল্য।
Mainak Debnath