সূত্রের খবর বিষয়টি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরে আসতেই। সন্দেহজনক ওই যুবককে প্রথমে আটক করে। যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তার সমস্ত কিছুতে তল্লাশি শুরু করে । আর এই তল্লাশিতেই বিএসএফের চক্ষু চড়ক গাছ । কারণ তল্লাশিতে তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ৩৫টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ এই সোনার বিস্কুট বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
বিএসএফের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে সোনার দামের অনেক ফারাক, ট্যাক্স ফাঁকি বা বাঁচানো-সহ একাধিক কারণ রয়েছে। সম্ভবত সেই উদ্দেশ্যেই এই বিপুল অঙ্কের সোনার বিস্কুট নিয়ে আসা হচ্ছিল বাংলাদেশ থেকে এদেশে। প্রাথমিক তদন্তে বিএসএফ জানতে পেরেছে, ধৃত যুবক নদিয়ার ধানতলা থানা এলাকার হরিতলা পাড়ার বাসিন্দা। যদিও পরবর্তী তদন্তের স্বার্থে বিএসএফ অথবা ডিআরআই, উভয় পক্ষের তরফেই ধৃতের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সোনা পাচার চক্রের কোনও নেটওয়ার্ক জড়িয়ে রয়েছে কিনা, তা জানতে পরবর্তীতে বৃহত্তর তদন্ত করবে ডিআরআই।
আরও পড়ুন– মোবাইল নম্বর শেষ হচ্ছে ৯ দিয়ে? দেখুন তো সব কিছু আপনার জীবনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে কি না
বিএসএফের আধিকারিক বলেন, আমরা তদন্তকারী সংস্থা নই। আমাদের নজরদারি সবসময় চলছে। সেই নজরদারিতেই সন্দেহজনক এই যুবক আটক হয়েছিল। আমরা তার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে সোনার বিস্কুট পেয়েছি। যার বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। আমরা সংশ্লিষ্ট ডিআরআইয়ের হাতে তাকে তুলে দিয়েছি। বাকি তদন্ত তারা করে দেখবে। আমরা সীমান্তে নজরদারি জারি রাখছি।
বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গেছে মাঝেমধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বিভিন্ন পাচারের ঘটনা বিভিন্ন সময় ঘটে। যার মধ্যে সোনা পাচার অন্যতম। সেই সোনা মূলত বিস্কুট রূপে এই দেশে নিয়ে আসা হয়। এদিনের ঘটনা এযাবৎকালের তৃতীয় সর্বোচ্চতম বলে জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ১৯৪ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত ব্যবহার করে এক যুবক সোনা পাচারের চেষ্টা করে। সেই সময় ঐ যুবককে সোনা-সহ আটক করা হয় পরে গ্রেফতার করা হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর গ্রেফতার হওয়া যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হবে এই ঘটনার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত কোথায় এই বিপুল পরিমাণ সোনা পাঠানোর কথা ছিল । প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।