পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে একটি ছোট চারচাকা গাড়ি ধুবুলিয়া বাজার এলাকায় এসে দাঁড়ায়। কিছুক্ষণ পর একটি স্কুটিতে করে এক ব্যক্তি এসে ওই গাড়িতে সন্দেহজনক কিছু সামগ্রী হস্তান্তর করে। ঠিক সেই সময় ধুবুলিয়া থানার রাত্রিকালীন টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের গাড়ি দেখে ছোট গাড়িটি দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। এতে পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। পুলিশ তৎক্ষণাৎ চারচাকা গাড়ি ও স্কুটিটি আটক করে। সমস্ত আইনানুগ প্রক্রিয়া মেনে গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় বাদামী রঙের টেপ মোড়ানো সোনার মতো দেখতে মোট ১১টি বার—এর মধ্যে ন’টি বড় এবং দুটি ছোট বার। স্বর্ণকার ডেকে পরীক্ষা করালে নিশ্চিত হওয়া যায়, উদ্ধার হওয়া বস্তুগুলি সোনার বার।
advertisement
পুলিশ অভিযুক্তদের কাছে সোনার বৈধ কাগজপত্র চাইলে তারা কোনও নথি দেখাতে ব্যর্থ হয়। এরপর সোনার বারগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে— রুশিকেশ কোদাম (২৩), সাঙ্গলি, মহারাষ্ট্র, রোহিত কুণ্ডলকর (২৫), সাঙ্গলি, মহারাষ্ট্র, অমিত মণ্ডল (৩০), নতুন বীরপুর, নাকাশিপাড়া, নদিয়া, রাজউইন্দার সিং (৩২), আন্দুল, ডোমজুড়, হাওড়া।
একই সঙ্গে অভিযুক্তদের কাছ থেকে সাতটি মোবাইল ফোন, একটি ছোট চারচাকা গাড়ি ও একটি স্কুটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর ধুবুলিয়া থানায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, এর পিছনে বড়সড় সোনার পাচার চক্র জড়িত থাকতে পারে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ।






