জানা যায় শান্তিপুর থানার কুণ্ডু পাড়ার বাসিন্দা ওই মহিলার পূর্বে একটি বিবাহ হয়েছিল। তাঁর এমনকি একটি ১৩ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। তাঁর কথা অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর ওই এলাকারই বাসিন্দা সঞ্জয় দাসের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। মহিলার অভিযোগ এক বছর আগে সঞ্জয় দাস তাঁর সঙ্গে বিয়ে করে। এমনকি আইনের মাধ্যমে তাঁর পুত্র সন্তানকেও মেনে নেয়।
advertisement
কিন্তু অভিযোগ, বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসলেও পরিবারের অন্য সদস্য সিভিক ভলেন্টিয়ার সুজয় দাস, সম্পর্কে এক ভাসুর তা মেনে নেয়নি। আর এরপরেই নাকি তাঁকে মেরে তাঁরা বার করে দেয় বলে অভিযোগ।
এরপরে এই ঘটনা নিয়ে শান্তিপুর থানায় লিখিত ভাবে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না দাবি ওই মহিলার। যদিও তিনি বধূ নির্যাতনের মামলা করেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও ভাবেই কোনও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়েই এদিন তিনি নিজের স্ত্রীর অধিকার পাওয়ার দাবি নিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে পড়েন।
ওই মহিলার দাবি, তাঁর স্বামীর দাদা যেহেতু সিভিক ভলেন্টিয়ার সেই কারণে আইনের ভয় দেখায় তাঁকে। তিনি বলেন, “আমি চাই যেহেতু আইনত ভাবে আমাকে বিয়ে করা হয়েছে তাই আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেওয়া হোক।” যদিও অভিযুক্ত সঞ্জয়কে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার দাদা সিভিক ভলেন্টিয়ার সুজয়কেও বাড়িতে পাওয়া যায়নি তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টি এড়িয়ে যান।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের বর্ণালী বর্মন জানান বিষয়টি আইন এবং আদালতের বিষয়। পুলিশ প্রশাসন এসেছে তারাই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন তবে বিবাহ করার পর একজন মহিলাকে স্বীকৃতি না দেওয়া ঠিক নয়। যদিও এ বিষয়ে খবর পাওয়া মাত্র শান্তিপুর থানার পুলিশ প্রশাসন এসে পৌঁছন এবং ওই মহিলাকে আশ্বস্ত করেন উপযুক্ত প্রমাণ হিসাবে কাগজপত্র থাকলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Mainak Debnath