রাজ্যের আইনজীবী জানান গ্রামে কোনও শ্মশান না থাকার কারণে মৃত্যুর কোনও শংসাপত্র মেলেনি! আদালত মনে করছে, রাজ্যের এই বয়ান ভুল কারণ কেস ডায়েরিতে লেখা রয়েছে নিহত নির্যাতিতাকে শ্যামনগর আতিরপুর শ্মশান ঘাটে দাহ করা হয়েছিল। কেস ডায়েরি আরও বলছে, কেবল এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্ত যুবকের দ্বারাই নয়, আরও অন্য ব্যক্তিদের দ্বারাও সংঘটিত হতে পারে এই নাবালিকা ধর্ষণ। আদালত জানিয়েছে, সুষ্ঠু তদন্ত এবং নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের তথা এলাকা ও রাজ্যের মানুষের মধ্যে আস্থা জাগানোর জন্য, স্থানীয় পুলিশের পরিবর্তে সিবিআইয়ের উচিত এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেওয়া। তাই রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার হাত থেকে এই মামলার দায়ভার অবিলম্বে সিবিআইকে অর্পণ করা হল, জানিয়েছে আদালত।
advertisement
আরও পড়ুন- জন্মদিনে প্রেমিকাকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ! মৃত্যু নাবালিকার, পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিক
জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ও অনিন্দ্য সুন্দর দাস জানান, নির্যাতিতার পরিবার পরিজনদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। হাইকোর্ট পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ায় সুষ্ঠু তদন্ত হবে এখন।
আরও পড়ুন- ভিন রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশের জালে মূল পাণ্ডা, কীভাবে গ্রেফতার?
রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা অবিলম্বে সিবিআইয়ের হাতে সমস্ত নথি হস্তান্তর করবে। সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করবে ২ মে'র মধ্যে। নির্যাতিতা পরিবারের সদস্য ও মামলার সাক্ষীদের পূর্ণ সুরক্ষা দেবে রাজ্য।
Arnab Hazra