শুনতে অবাক লাগলেও এটাই নির্মম সত্য! ঘটনাটি নদিয়ার ধানতলা থানার আড়ংঘাটা রেল স্টেশনের কাছে। বহিরগাছির দিকে লাইনের পাশে ঘর করে বউ ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকতেন প্রায় ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। লেবারের কাজ, কখনও ভ্যান রিক্সা চালিয়ে কোনোমতে চলত সংসার তাঁর।
কিছুদিন আগে ওই ব্যক্তির বাড়ির কাছেই স্বামীকে ছেড়ে, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঘর করে থাকতে শুরু করেন এক মহিলা। অভাবের সংসার দেখে মানবিকতায় গলেছিল ব্যক্তির মন। নিজের অল্প আয়ের মধ্য থেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। সেই সাহায্যই ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রেমের সম্পর্কে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকে তাঁদের সম্পর্ক। সব জেনেও নিজের সংসার থাকা সত্ত্বেও নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসেছিলেন ওই ব্যক্তি।
advertisement
সময়ের সঙ্গে বদলে যায় ছবি। অভিযোগ, ওই ব্যক্তির টাকাতেই ওই মহিলা তাঁর মেয়ের বিয়ে দেন। এত কিছুর পরেও হঠাৎই সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান ওই মহিলা। কিন্তু ওই ব্যক্তি তা মানতে পারেননি। এর মধ্যেই অন্য রাজ্যে কাজে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন ওই ব্যক্তি। এরপরেই শুরু হয় অশান্তি।
অভিযোগ, প্রতিবেশী গোবিন্দ বিশ্বাসের বৌমার কাছে ফোন নম্বর আনতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা বাঁধে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির গলির মধ্যেই ওই ব্যক্তির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই প্রেমিকা ও তাঁর ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, তাঁর প্রেমিকা বারবার লাথি মারেন ওই ব্যক্তির পুরুষাঙ্গে। তাতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন- মাত্র ৫০ টাকায় বাদশাহি মিষ্টি! শাহি টুকরা-মালাই স্যান্ডউইচ খেতে ভোজন রসিকদের ভিড়
ঘটনার পর মৃতের পরিবার আরংঘাটা পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশী গোবিন্দ বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশ। এদিন সকালে টোটো করে পালানোর চেষ্টা করার সময় আরও দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও পলাতক প্রেমিকা ও তাঁর ছেলে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে আরংঘাটা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ।






